ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিপিএলের ব্যর্থতার দায় ক্রিকেটারদেরও আছে

বিপিএলের ব্যর্থতার দায় ক্রিকেটারদেরও আছে

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্ব। তবে এবারের বিপিএল আয়োজন নিয়ে শুরু থেকে সমালোচনা। সাকিব, মাশরাফির বক্তব্যে মাঠে নামার আগেই ঝড় ওঠে, সেই ঝড় বয়ে যায় খেলা শুরুর পরও। সব মিলিয়ে বিপিএলের চারদিনে ৮ ম্যাচেই ঘটেছে নানা ঘটনা। যা ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শিষ্টাচারের সীমা অতিক্রম করার মতো ঘটনা। খেলা শুরুর পর নিয়ম ভঙ্গের দায় ক্রিকেটারদেরও। ডিআরএসের মতো অতি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি খেলায় ব্যবহার করতে না পারায় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল শুরু থেকে সমালোচিত। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজিরা অনুশীলনের শুরু থেকে খেলোয়াড়দের জার্সি দিতে না পারায় সমালোচনা আরো বেড়ে যায়। সেসব ছাপিয়ে খেলা শুরু হয়। মাঠে শুরু হয় খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ। সৌম্য সরকার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে থেকে সিদ্ধান্ত পাল্টানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাতে প্রতিপক্ষ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল আম্পায়ারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান। রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে মাঠে প্রবেশ করে নিজের তৈরি হতে সময় নেয়ায় সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি টস করতে নামতে পারেননি।

দলের টিম লিস্টে তার হয়ে স্বাক্ষর দেন মুশফিকুর রহিম, টসও করেছিলেন তিনি। বাউন্সে আম্পায়ার নো বল কল না করায় ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব মেজাজ হারিয়েছেন মুহূর্তেই। আম্পায়ারের দিকে তেড়েফুঁড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে দুকথা আম্পায়ারকে শুনিয়েও এসেছেন তিনি। গতকাল ঢাকায় প্রথম পর্বের শেষ দিনে খেলা থামিয়ে মাঠে ঢুকে নতুন বিতর্কে জড়ান সাকিব। স্ট্রাইক ও নন স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। সাকিবের সঙ্গে মাঠে একই কাজ করেন রংপুরের অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান। সেই ম্যাচেই এনামুল হক বিজয় আউট হয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আগের ভুল, অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য খেলোয়াড়রা পার পেয়ে গেলেও সাকিব, সোহান ও এনামুলকে শাস্তি দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। মাঠে খেলোয়াড়দের এসব কর্মকাণ্ডে বিপিএল যে সমালোচিত হচ্ছে, বলার অপেক্ষা রাখে না। বিপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু খারাপ করার দায় তো ক্রিকেটারদের ওপরও যায়। বিসিবির এক পরিচালক সেই কথাটাই বলেন, ‘সীমাবদ্ধতার ভেতরেও বিপিএল আয়োজন করে বিসিবি নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। যেভাবেই হোক খেলাটা মাঠে চালু আছে। কিন্তু খেলার মাঠে অখেলোয়াড় সুলভ আচরণগুলো খেলোয়াড়রা না করলেই পারে।’

বিপিএলে যে এডিআরএস ব্যবহার হচ্ছে তা সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার থেকে বেশি সংশয় সৃষ্টি করছে। এডিআরএসে নেই বল ট্র্যাকিং, হক আই, স্নিকো বা ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা। এমন রিভিউ প্রক্রিয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত