ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেন কোচ হয়েছিলেন স্কালোনি

কেন কোচ হয়েছিলেন স্কালোনি

বাংলা অভিধানের ‘বিস্ময়’ শব্দটি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনির পিছু নিয়েছে অনেক আগে থেকে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়াটা ছিল বিস্ময়ের। আর্জেন্টিনার কোচ হওয়াটাও ছিল বিস্ময়ের। অথচ ৪৪ বছর বয়সি এই কোচের হাত ধরেই ৩৬ বছরের খরা ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে এবার মেতেছে আলবিসেলেস্তেরা!

২০০৬ বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে অভিজ্ঞ হাভিয়ের জানেত্তির বদলে হোসে পেকারমান বেছে নিয়েছিলেন স্কালোনিকে। ওই সময় এ নিয়ে কথা হয়েছিল ঢের। ওই বিশ্বকাপে অবশ্য মাত্র একটি ম্যাচ বদলি খেলেছিলেন তিনি এবং মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই ছিল তার আকাশি নীল-সাদা জার্সিতে শেষ।

এরপর কোচ হন স্কালোনি। হোর্হে সাম্পাওলির সহকারী হিসেবে আর্জেন্টিনার দলে কাজও করেন। ২০১৮ বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় সাম্পাওলির বিদায়ের পর তিনি পেলেন আর্জেন্টিনার অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব, দুই ম্যাচের জন্য। পরীক্ষায় উতরে গিয়ে পেলেন পুরো দায়িত্ব। ‘অখ্যাত’ স্কালোনিকে শুরু থেকে শুনতে হয়েছে অনেক কথা। হজম করতে হয়েছে কটূক্তি।

সেই স্কালোনির হাত ধরেই কাতার বিশ্বকাপে বাজিমাত করেছে আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনে ফেরার পর কাতারে জিতে নিয়েছে বিশ্ব জয়ের মুকুট। এখন স্কালোনি ভাসছেন প্রশংসার বন্যায়। রেডিও কালভিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় কোচ হওয়ার পেছনের গল্পটা শোনালেন স্কালোনি। খেলোয়াড়ি জীবনে আহামরি ছিলেন না বলে ফুটবলের সঙ্গে থাকার দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা থেকে কোচিংয়ের পথে আসা বলেও জানালেন তিনি, ‘যখন সিদ্ধান্ত নিলাম কোচ হব, ২০১১ সালে যখন কোচিং কোর্স করলাম, জানতাম এটা আমার ভালো লাগবে এবং এটাই আমার চাকরি হবে। যখন আপনি নিয়মিত খেলতে পারবেন না, তখন আপনি প্রথমেই চাইবেন ফুটবলের সঙ্গে থাকতে, আমিও তাই চেয়েছিলাম এবং সেটা করতে কোচ হওয়ার চেয়ে ভালো পথ আর কোনটি।’

স্কালোনিকে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। চুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনাও চলছে। এদিকে ক্লাব ক্যারিয়ারে দেপোর্তিভো লা করুনা ও মায়োর্কাতে লম্বা সময় কাটিয়েছিলেন স্কালোনি, তারাও তাকে কোচ হিসেবে চাইছে। স্কালোনিও জানেন দেপোর্তিভো ও মায়োর্কার দরজা তার জন্য সবসময় খোলা। কিন্তু সেই দরজায় এখনই ঢু দেয়ার ইচ্ছা যে নেই, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ‘আজ আমি যেখানে আছি, তাতে আমি খুশি। সবাই এরই মধ্যে জানে, আমার জন্য দরজা খোলা রেখেছে দেপোর্তিভো, সেখানে আমি খেলোয়াড় এবং মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠেছিলাম এবং সেরা বছরগুলো কাটিয়েছিলাম। মায়োর্কাতে আমি থাকি, আমার পরিবার থাকে। সেখানে আমরা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে ভিন্ন পরিবেশে থাকি, খুবই শান্ত পরিবেশ সেখানে। যে দুটি জায়গায় আমি আসলেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, সেখানে কোনো একদিন কেন নয় (কোচের কাজ করা)।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত