ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিপিএল হলো আইপিএলের সিঁড়ি

বিপিএল হলো আইপিএলের সিঁড়ি

মান, অর্থ, তারকার সমারোহ আর চাকচিক্যে আইপিএলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে বিপিএল। বিসিবির কর্তারা এখন আর বলতে পারেন না- বিপিএলের স্থান আইপিএলের পর। নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া বিপিএলের নবম আসরের চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর প্রাক্কালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রধান কোচ জুলিয়ান উড দাবি করলেন, বিপিএলে ভালো করলে আইপিএলের দরজা খুলে যাবে। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে উড বলেন, ‘আইপিএল সবকিছুর চূড়ায়। বিপিএল হলো ভিত গড়ার মতো। যে কোনো তরুণ ক্রিকেটারের জন্য আইপিএল পর্যন্ত যাওয়ার পথে এটি সিঁড়ির মতো।’ চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম। দু’দলই নিজেদের প্রথম ২ ম্যাচে জয় পেয়েছে একটি করে।

এবার আসর শুরুর আগেই বিপিএলের গায়ে লেগেছে নানান সমালোচনার দাগ। দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে। ডিআরএসের বদলে ব্যবহৃত এডিআরএস নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন ডাচ পেসার পল ফন মিকেরেন। এসবের মধ্যেও বিপিএলের ইতিবাচক দিক খুঁজে নিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রধান কোচ জুলিয়ান উড। ৫৪ বছর বয়সি এই কোচ পরিচিত পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে। বিপিএলের গত আসরে এই দায়িত্ব দিয়েই তাকে বাংলাদেশে আনে সিলেট সানরাইজার্স। এর আগে তিনি কাজ করেন বিগ ব্যাশ ও পিএসএলে। বিপিএলের পর আইপিএল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হয়েও কাজ করার অভিজ্ঞতা হয় উডের। এবার তিনি এসেছেন প্রধান কোচ হয়ে। বিশ্বের নানান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে অন্যান্য টুর্নামেন্টের সঙ্গে বিপিএলের বৈসাদৃশ্য ধরতে পেরেছেন উড।

তার মতে, বিপিএলে কাজের পরিবেশ অন্য যে কোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে অস্থিতিশীল। তাই এখানে কাজ করার চ্যালেঞ্জ জিতলে পরের কাজটুকু সহজ হয়ে যায়। উড জানান বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট থেকেই তরুণ ক্রিকেটাররা সামনে এগোনোর রসদ পায়, ‘আমার মতে আইপিএল সবকিছুর চূড়ায়। এটা অসাধারণ। সেখানে যে মানের ক্রিকেট হয় তা অবিশ্বাস্য। ওখানের সংশ্লিষ্টরা অনেক মানসম্পন্ন। সেদিক থেকে বিপিএল হলো ভিত গড়ার মতো। যে কোনো তরুণ ক্রিকেটারের জন্য আইপিএল পর্যন্ত যাওয়ার পথে এটি সিঁড়ির মতো। যদি এখানে ভালো করে তাহলে... যেমন গত বছর (চট্টগ্রামের হয়ে) বেনি হাওয়েল ভালো করেছিল। এরপর সে পিএসএল খেলতে যায়, আইপিএলেও দল পায়। পাঞ্জাবের হয়ে যদিও ম্যাচ খেলতে পারেনি, তবে সেখানে ছিল। এটি (বিপিএল) তাই দারুণ মঞ্চ। আমার মতে, যেভাবে বিপিএল পরিচালিত হয়, এই পরিবেশে কাজ করতে পারলে কারণটা হলো, এখানে সবকিছু অস্থির, সব জায়গায় দর্শক-ভক্তের সমাগম। এর মধ্যেও আপনাকে নিজের কাজ করে যেতে হবে। কোচ বা খেলোয়াড় হিসেবে যদি এই পরিবেশে কাজ করতে পারেন, তাহলে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় কাজ করতে পারবেন। আইপিএলসহ অন্যান্য লিগ খেলার জন্য তরুণ খেলোয়াড়দের দারুণ মঞ্চ এটি।’

উডের কোচিং ক্যারিয়ারেও ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে বিপিএল। গত আসরে সিলেট সানরাইজার্সের পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর কাজ করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে। এবার বিপিএল ও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেন উড, ‘এটা দারুণ। আইপিএলেও কাজ করেছি। পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে আমার পরিচিতি আছে, যেটা দারুণ। এখন মূলত পাওয়ারের খেলা। কিন্তু একইসঙ্গে আমি ব্যাটিং কোচও, যে কিনা পাওয়ার হিটিংয়ে বিশেষজ্ঞ। গত বছর এখানের (বাংলাদেশ) সংবাদমাধ্যম আমার প্রতি দারুণ ছিল। এরপর আইপিএলে কাজ করেছি, আরও অনেক জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি। এটা ভালো।’

মিরপুরের উইকেটে ম্যাচে যেমন, তেমনি নেটেও শট খেলতে অনেক ভাবতে হয় ব্যাটসম্যানদের। অনেক সময়ই থ্রো ডাউন ছাড়া হাত খুলে খেলার অনুশীলন তাদের হয়ে ওঠে না। তবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তুলনামূলক ভালো উইকেটে প্রথম দিন অনুশীলনে নেমে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। আফিফ অবশ্য বরাবরই আগ্রাসী থাকতেই পছন্দ করেন। এই বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলে তিনি কোচ হিসেবে পেয়েছেন জুলিয়ান উডকে, বিশ্ব ক্রিকেটে যার পরিচিতি ‘পাওয়ার হিটিং কোচ’ হিসেবে। পেশির জোরে শট খেলা নিয়ে কাজ করা ও উন্নতির সুযোগ তাই তার আছে। যদিও সেটিকে খুব জরুরি মনে করছেন না উড।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত