ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকার মাঠে বাইসাইকেল কিক

ঢাকার মাঠে বাইসাইকেল কিক

গোল করেই চলেছেন দরিয়েলতন গোমেজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গতকাল দরিয়েলতনের করা দুর্দান্ত গোলেই জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় পুলিশকে ১-০ গোলে হারিয়েছে টেবিল টপাররা। কুমিল্লা স্টেডিয়ামে ‘আবাহনী ডার্বি’তে চট্টগ্রামের দলটিকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মারিও লেমোসের ঢাকার আকাশি-হলুদরা। জোড়া গোল করেছেন এলিটা কিংসলে, একটি করে মেরাজ, ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস ও নাবিব নেওয়াজ জীবন। অন্য ম্যাচে নবাগত উত্তরা এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। সমান ম্যাচে তৃতীয় জয়ের পর আবাহনীর পয়েন্ট ১১। চট্টগ্রাম আবাহনীর ৪ ম্যাচে ২, মুক্তিযোদ্ধা ৫ ম্যাচে প্রথম জয়ে ৩ পয়েন্ট ও উত্তরা এফসি ৪ ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট।

কিংসকে তাদের ঘরের মাঠেই চ্যালেঞ্জ জানায় পুলিশ। প্রথম সুযোগটা এসেছিল তাদের সামনে। কিন্তু ১২ মিনিটে সেটি নষ্ট করেন বিদেশি অ্যাডওয়ার্ড মরিল্লো। বক্সের ভেতর থেকে তার নেয়ার গতির শট রুখে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে লিড পেতে বেশি সময় নেয়নি অস্কার ব্রুজোনের দল। ২৭ মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন দরিয়েলতন। রাকিবের ক্রসে হাওয়ায় ভেসে বাইসাইকেল কিকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। লিগে এটি তার পঞ্চম গোল। আরো দুটি গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন দরিয়েলতন। বিরতি থেকে ফিরেও সুযোগ নষ্ট করেন তিনি, গোলমুখ থেকে বল পোস্টের উপর দিয়ে মারেন। ৭৫ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় কিংস। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার সোহেল রানা। তবে বাকি সময়ে রক্ষণ আগলে রেখে জয় নিশ্চিত করে কিংস।

কুমিল্লায় ১৮ মিনিটের ঝড়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মারিও লেমোসের আবাহনী। শুরুতে ঢাকা আবাহনী লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে গিয়েছিল। জয়ের পথে বাধা হতে প্রথমার্ধে গোলও শোধ দিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচটা জমে উঠে শেষের ১৮ মিনিটে। এই সময়ে চার গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীকে বড় হারের লজ্জা দিয়েছে মারিও লেমসের শিষ্যরা। এলিটা কিংসলে-কলিনদ্রেস-মেরাজ-জীবনের নৈপুণ্যে আবাহনী তুলে নিয়েছে বড় জয়। ১১ মিনিটে মেরাজ হোসেনের পাসে জায়গা করে নিয়ে এলিটা কিংসলে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপিয়েছেন। ৩২ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ওজুকু জোরালো শটে সমতা ফেরান চট্টগ্রাম আবাহনীকে। গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল বলের দিকে ঝাঁপিয়েও কিছু করতে পারেননি। বিরতির পর আবাহনী চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না। শেষ ১৮ মিনিটে আক্রমণে ধার বাড়ানোতে সাফল্য মেলে, পায় আরও চার গোল। ৭২ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাসে দলকে এগিয়ে দেন মেরাজ হোসেন। ৫ মিনিট পর কিংসলে দারুণ শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করে চট্টগ্রামের দলকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। দুই মিনিট পর কলিনদ্রেস নিজেই গোল করেন। মধ্যমাঠ থেকে লং পাস পেয়ে বাঁ দিক থেকে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে ৪-০ করেন ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলা এই ফরোয়ার্ড। ৮৯ মিনিটে পিটার এনরোচের ক্রসে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নাবীব নেওয়াজ জীবন।

বসুন্ধরা কিংস ১ : ০ পুলিশ

আবাহনী ৫ : ১ চট্টগ্রাম আবাহনী

উত্তরা এফসি ০ : ১ মুক্তিযোদ্ধা

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত