ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৃত্ত ভাঙতে চায় কুমিল্লা

বৃত্ত ভাঙতে চায় কুমিল্লা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে তারা। হারের বৃত্ত থেকে বের হবার লক্ষ্য নিয়েই আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হচ্ছে কুমিল্লা। অন্য দিকে কুমিল্লাকে হারিয়ে আসরে তৃতীয় জয়ে চোখ চট্টগ্রামের। ৪ খেলায় ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট আছে বন্দর নগরীর দলটির। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের লড়াই। আজ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়েই ঢাকা ডমিনেটর্সের মুখোমুখি হচ্ছে মাশরাফি-মুশফিকের সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম চার ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে সিলেট। অন্য দিকে ৩ ম্যাচে মাত্র ১ জয় আছে ঢাকার। দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ দুটি শুরু হবে যথাক্রমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা ও দুপুর দেড়টা।

হট ফেভারিট হিসেবেই এবারের আসর শুরু করে কুমিল্লা। কিন্তু এ পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। ঢাকা পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৩৪ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারে কুমিল্লা। দু’টি হার নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করে কুমিল্লা। চট্টগ্রামের মাটিতে সাফল্যের স্বাদ নিতে মরিয়া ছিল তারা। কিন্তু এখানেও ভাগ্য বদলায়নি কুমিল্লার। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানে ম্যাচে হারে কুমিল্লা। কুমিল্লার হয়ে ব্যাট বা বল হাতে কেউই ভালো পারফরমেন্স করতে পারছে না। ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান আছে জাকের আলির। ৩ ইনিংসে ৭৫ রান করেছেন তিনি। ৩ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের। বল হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও পাকিস্তানের খুশদিল শাহ।

অন্য দিকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরে এবারের আসর শুরু করে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ম্যাচেই খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয়। ম্যাচে দু’টি সেঞ্চুরি হয়। পাকিস্তানের আজম খানের অপরাজিত ১০৯ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। জবাবে আরেক পাকিস্তানি উসমান খানের অনবদ্য ১০৩ রানের সুবাদে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। ঢাকা প্রথম পর্বে দুই ম্যাচে ১টি করে জয়-হার নিয়ে নিজেদের মাঠে খেলতে নামে চট্টগ্রাম। বন্দর নগরীতে প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ২৬ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। তবে শনিবার রাতে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফিফ হোসেন ও আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির তাণ্ডবে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম।

বিপিএলের শুরুতে ঢাকা প্রথম পর্বেই চার ম্যাচ খেলেছে সিলেট। সবগুলোতেই দাপট দেখিয়েছে জয় তুলে নেয় তারা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে, সাকিবের ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে এবং ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৬২ রানে হারায় সিলেট। এরমধ্যে বরিশালের বিপক্ষে ১৯৫ রানের টার্গেট স্পর্শ করে সিলেট। ঢাকার বিপক্ষে এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে ২০০ রান তুলে তারা। চার ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে সিলেটের ক্রিকেটাররা। ব্যাটারদের তালিকায় সর্বোচ্চ রানের শীর্ষ দু’টি স্থানে সিলেটের তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, বোলিং বিভাগেও সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিলেটের দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪ ইনিংসে ১৫ ওভার বল করে ১১২ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৭ উইকেট শিকারে রংপুর রাইডার্সের পেসার রবিউল হক ও ঢাকার আল-আমিন হোসেনের সাথে আছেন ম্যাশ। তার সাথে সিলেটের পক্ষে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির ও দলের আরেক পেসার রেজাউর রহমান রাজা ৬টি করে উইকেট নেন।

তবে বড়সড় ধাক্কা নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করতে হবে সিলেটকে। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলের ইনজুরিতে পড়েন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা হৃদয়। আঙুলে আটটি সেলাই পরায় দু’সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তিনি। চট্টগ্রাম পর্বে মাঠেই নামতে পারবেন না সিলেটের হৃদয়। চট্টগ্রাম পর্বে দু’টি ম্যাচ খেলবে সিলেট। দু’টি ম্যাচেই জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না উল্লেখ করে আকবর আলি, ‘ঢাকা পর্বের চারটি ম্যাচই জিতেছি আমরা। মোমেন্টামটা আমাদের দিকে আছে। আমরা চেষ্টা করব চট্টগ্রাম পর্বে দু’টো ম্যাচ জিতে মোমেন্টাম ধরে রাখতে।’ অন্য দিকে এখন পর্যন্ত বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলেছে ঢাকা। এরমধ্যে দু’টি ঢাকায় নিজ ডেরায়। অন্যটি চট্টগ্রাম পর্বে।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত