ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাশরাফি-মুশফিকের সিলেটের পাঁচে পাঁচ

মাশরাফি-মুশফিকের সিলেটের পাঁচে পাঁচ

জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর পর টানা ৩ ম্যাচ হারল ঢাকা ডমিনেটর্স। মিরপুরে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে ৬২ রানে ঢাকাকে হারিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামেও ফিরতি পর্বে ব্যতয় ঘটেনি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল লো স্কোরিং ম্যাচে ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে সিলেট। চলতি বিপিএলে পাঁচ ম্যাচ খেলে পাঁচটিই জিতল মাশরাফি, মুশফিকের সিলেট। ঢাকায় টানা চার জয়ের পর চট্টগ্রাম পর্বেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতল সিলেট, তাতে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠল শীর্ষে। আর ঢাকা ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।

তবে অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই জমিয়ে তুললেন তাসকিন আহমেদ। বল হাতে আশা জাগালেন দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও নাসির হোসেনও। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সকে আটকে রাখতে পারেনি ঢাকা ডমিনেটর্স। আসরের শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করা তাসকিন এই ম্যাচে সিলেটের ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগই দেননি, ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। তাসকিনের গতিময় নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১২৮ রানকেও মনে হচ্ছিল বড় লক্ষ্য। তবে মোহাম্মদ হারিসের শুরুর ঝড়ের পর মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সিলেটের হাতেই থাকে। শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ঝড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে ঢাকার সৌম্য সরকার ডাক মারেন রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দিলশান মুনাবিরা (১৭) ও রবিন দাসকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ইমাদ ওয়াসিম। দশম ওভারে ঢাকার দ্বিতীয় সেরা স্কোরার উসমান গনিকে (২৭) ফেরান নাজমুল ইসলাম। মোহাম্মদ মিঠুনকে (১৫) তৃতীয় শিকার বানান ইমাদ। ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ঢাকার সর্বোচ্চ ৫০ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও আরিফুল হক। ইনিংস সেরা ৩৯ রান করে রান আউট হন নাসির। ২০ রান করেন আরিফুল। ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা। সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ইমাদ। একটি করে পান রুবেল, মোহাম্মদ আমির ও নাজমুল।

মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য। মোহাম্মদ হ্যারিস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫২ রানের জুটিতে দারুণ শুরু সিলেটের। কিন্তু নবম ওভারে নাসির জোড়া ধাক্কা দেন এই দুজনকে ফিরিয়ে। ৪৪ রান করেন হ্যারিস, ১২ রান করেন শান্ত। পরের ওভারে জাকির হাসানও (১) আরাফাত সানির শিকার।

এরপর রান রেট বাড়তে থাকে, সঙ্গে চাপও। একপ্রান্ত আগলে রাখা ইমাদ (১১) ও মুশফিকুর রহিম (২৭) বিদায় নিলে বড় ধাক্কা খায় সিলেট। ৯৩ রানে ইমাদ রান আউট ও ১০৫ রানে মুশফিক আউট। শেষ ৩ ওভারে ২৪ রানের লক্ষ্য। মুশফিকের বিদায়ের ওভারে থিসারা পেরেরা ও আকবর আলী মাত্র ৪ রান করেন। তাতে শেষ ২ ওভারে লক্ষ্য বেড়ে ২০ রানে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয় ঢাকা।

তবে ১৯তম ওভারে সব চাপের অবসান ঘটান ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান। সালমান ইর্শাদের প্রথম বলে থিসারা পেরেরা একটি চার মারেন, পরের বলে নেন দুটি রান। তৃতীয় বলে আরেকটি চারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন পেরেরা। পরের বলে তার সঙ্গে প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে এসে আকবর পঞ্চম বলে মারেন ছক্কা। ওই ওভারে ১৮ রান তুলে নেন দুজন।

শেষ ওভারে আর ২ বল খেলেই ম্যাচ জিতে যায় সিলেট। প্রথম বলে আকবর নেন সিঙ্গেল, পেরেরা পরেরটি মারেন ছয়। আকবর ১০ ও পেরেরা ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে সিলেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত