মূলত দেশের সাবেক রেফারিরাই ম্যাচ কমিশনার হিসেবে কাজ করেন। সে ধারা পরিবর্তন করতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদার লিগ কমিটি, তাই এই পদের জন্য রেফারিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বাইরে থেকে নিতে চায়। ‘নতুন’ ম্যাচ কমিশনার ও রেফারি অ্যাসোসিয়েটসের কাছ থেকে পাওয়া দুটি প্রতিবেদন দেখে ম্যাচ রিপোর্টের স্বচ্ছতা যাচাই করতে চায় কমিটি। বাফুফে ভবনে গতকাল পেশাদার লিগ কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির অধীনস্ত কার্যকরী উপ-কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক জানান নতুন পরিকল্পনা, ‘আমরা রেফারির বাইরে থেকে ম্যাচ কমিশনার নেব। যে কখনো রেফারির সঙ্গে জড়িত ছিল না। এছাড়া একজন রেফারি অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ দিতে চাচ্ছি। যদিও এটার জন্য আর্থিক ব্যাপার আছে। তবে আমরা আশাবাদী, এটা বাস্তবায়িত হবে। আমাদের লিস্টে ৭০ থেকে ৭৫ জন রেফারি আছে, যা খুবই কম। অন্তত ৫০০ জনের রেফারি প্যানেল দরকার। অনেক সাবেক ফুটবলার আছে যারা এখন কিছুই করছে না, তাদের আমরা রেফারিংয়ে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাব।’ বিদ্যমান পদ্ধতিতে একজন ম্যাচ কমিশনারসহ রেফারি, তার দুই সহকারী ও তৃতীয় রেফারি মিলিয়ে পাঁচজন ম্যাচ পরিচালনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট। নতুন নিয়মে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ছয়জনে। সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আসে জুনে আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ আসার প্রসঙ্গ। যে খবর চাউর হওয়ার পর বাফুফে সংবাদ সম্মেলন ডেকে গত বুধবার বাতিল করে দেয়। বাফুফে সহ-সভাপতি মানিক অল্প কথায় দিয়েছেন উত্তর। সবকিছু চূড়ান্ত না হওয়ার আগে মুখ খুলতে রাজি নন তিনি, ‘ইন প্রোগ্রেস (আলোচনা এগোচ্ছে)। এখন কোনো মন্তব্য করব না, চূড়ান্ত হলে জানাব।’
