জয়ের হাসি পিএসজির

রোনালদোর (২) মেসি (১)

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে পিএসজির হয়ে জালের দেখা পেলেন মেসি-এমবাপে। ২ বছর পর ফুটবলের সবুজ আঙিনায় মুখোমুখি লড়াইয়ে দেখা হলো লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। যতক্ষণ খেললেন মুগ্ধতা ছড়ালেন। জালের দেখা পেলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা, সৌদি আরবের ফুটবলে অভিষেকে জোড়া গোল করলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদো। ৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে রোনালদোর দল যদিও পেল হারের স্বাদ। সৌদি আরবের দুই ক্লাব আল নাস্?র ও আল হিলালের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল রিয়াদ অল স্টার্স একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার ৫-৪ গোলে জিতেছে পিএসজি। রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে প্যারিসের দলটি।

পিএসজির হয়ে একটি করে গোল করেন মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, সের্হিও রামোস, মার্কিনিয়োস ও উগো একিতিকে। পেনাল্টি মিস করে স্কোরশিটে নাম তোলার সুযোগ হারান নেইমার। রিয়াদ সেশন কাপ নামের ম্যাচটি শুরুর আগে পিএসজির চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফির সঙ্গে মাঠে দেখা যায় বলিউড কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চনকে। উৎসবের আবহে শুরু হওয়া ম্যাচে তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের দারুণ পাস বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে বাঁ পায়ের শটে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মেসি। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম সুযোগ পান রোনালদো। সতীর্থের থ্রু বল ধরে এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে পর্তুগিজ মহাতারকার বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। দ্বাদশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় অল স্টার্স। রোনালদোর সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুইস গুস্তাভোর শট আটকে দেন নাভাস। তিন মিনিট পর অল স্টার্সের গোলরক্ষক মোহামেদ আল-ওয়াইসের দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। আশরাফ হাকিমির ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে নেইমারের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন সৌদি আরবের এই গোলরক্ষক। একটু পর ওয়ান-অন-ওয়ানে হুয়ান বের্নাতের শটও এগিয়ে এসে রুখে দেন তিনি। ২৫তম মিনিটে মেসির দারুণ পাস ধরে বল জালে পাঠান এমবাপে, তবে অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। পরের মিনিটে মেসির শট উড়ে যায়। ৩৪তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে দলকে সমতায় ফেরান রোনালদো। পেনাল্টি আদায় করে নেন তিনি নিজেই। সতীর্থের ফ্রি-কিকে বক্সে হেডের জন্য লাফিয়ে ওঠেন রোনালদো, এগিয়ে এসে পাঞ্চ করার চেষ্টায় সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থের মুখে আঘাত করেন নাভাস। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

৩৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় পিএসজি। মাঝমাঠের কাছে অল স্টার্সের মিডফিল্ডার সেলিম আল-দাওসারিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বের্নাত। সেই ধাক্কা সামলে তিন মিনিট পর লিড পুনরুদ্ধার করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। বাঁ দিক থেকে এমবাপের ক্রস ছয় গজ বক্সে পেয়ে দারুণ ফ্লিকে জালে পাঠান মার্কিনিয়োস। পরের মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে এমবাপের প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক। একটু পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন নেইমার। তার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। বক্সের ভেতর ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজেই ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোলে আবার সমতা টানেন রোনালদো। শুরুতে তার হেড পোস্টে লেগে ফেরে, বল ক্লিয়ার করার সুযোগ পেয়েও পারেনি পিএসজি, ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়েও যেতে পারত অল স্টার্স। কাছ থেকে গনসালো মার্তিনেসের হেড দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন নাভাস। ৫২তম মিনিটে এমবাপের শটে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান আল-ওয়াইস। পরের মিনিটেই এমবাপে-রামোসের নৈপুণ্যে আবার এগিয়ে যায় পিএসজি। একজনের বাধা এড়িয়ে ডান দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে ফরাসি তারকার পাস পেয়ে ছয় গজ বক্সে ডান পা বাড়িয়ে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। সেই স্বস্তি যদিও বেশিক্ষণ থাকেনি। ৫৬তম মিনিটে কর্নারে হেডে ৩-৩ সমতা টানেন দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্ডার সু জাং। এর তিন মিনিট পর আবার এগিয়ে যায় পিএসজি। স্পট কিকে গোলটি করেন এমবাপে। মেসির শট বক্সে আলি আল বুলায়হির হাতে লাগলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।