ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা স্থায়ী ম্যাচে জিতলেন ব্রিটিশ তারকা। মাঝরাত তখন পেরিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে স্বাগতিক ‘অচেনা’ থানাসি কোকিনাকিসের বিপক্ষে প্রথম দুই সেট হেরে এবং তৃতীয় সেটেও হারের মুখে দাঁড়িয়ে ছিটকে পড়ার ঘোরশঙ্কায় অ্যান্ডি মারে। তবে ব্রিটিশ তারকা যেন নিজের ক্যারিয়ারে তো বটেই, টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তনের গল্পগুলোর একটি লেখার শপথ নিলেন। টেনিসের আঙিনায় জন্ম দিলেন নতুন এক রূপকথার। রাতের ম্যাচকে ভোরে টেনে নিয়ে হাসলেন জয়ের হাসি। এটিপির র্যাঙ্কিংয়ে যার অবস্থান ১৫৯, ক্যারিয়ারে যিনি কখনোই কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামে চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে পারেননি, সেই কোকিনাকিস বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন পার্কে শুরু থেকে দুর্দান্তরূপে নিজেকে মেলে ধরেন। দারুণ সব শটে নাজেহাল করে তোলেন তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী প্রতিপক্ষকে। প্রথম দুই সেট জয়ের পর তৃতীয় সেটেও তিনি এগিয়ে যান ৫-২ গেমে। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় জয়ের স্বপ্ন তখন ২৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়ের চোখেমুখে। কিন্তু তার সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত আর আসেনি। একটু একটু করে নিজেকে মেলে ধরেন মারে, খাদের কিনারা থেকে এভাবেও যে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তাই দেখালেন তিনি। রাত ১০টা ২০ মিনিটে শুরু ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪-৬, ৬-৭ (৪-৭), ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩, ৭-৫ গেমে যখন জয় নিশ্চিত করলেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা, ঘড়িতে তখন ভোর ৪টা বেজে ৫ মিনিট! রাত ফুরিয়ে গেলেও মার্গারেট কোর্ট অ্যারেনায় দর্শকদের চোখে-মুখে নেই তার কোনো ছাপ। অসাধারণ, চমৎকার এক লড়াইয়ের যে সাক্ষী হলেন তারা। পাঁচ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট স্থায়ী লড়াইটি চোটপ্রবণ ক্যারিয়ারে মারের এটা ২৫০তম এবং নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচ। র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ৬৬ নম্বরে থাকা মারে এই নিয়ে ১১ বার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ম্যাচে দুই সেটে পিছিয়ে পড়েও জয়ের কীর্তি গড়লেন।