সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেন জাকির-হাসান

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

তিন সংস্করণেই রাখা হয়েছে চার ক্রিকেটারকে, কোনো সংস্করণেই জায়গা হয়নি ইয়াসির আলির। ব্যাটে-বলে সব সংস্করণেই ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে যেভাবে মেলে ধরছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সেটির প্রতিদান পেলেন তিনি বোর্ডের কাছ থেকে। বিসিবির এই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ৩ সংস্করণেই জায়গা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। প্রায় উল্টো প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারানোর পর এই সংস্করণের চুক্তিতেও রাখা হয়নি তাকে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আছেন কেবল ওয়ানডের চুক্তিতে। প্রতি বছরই সাধারণত কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা তৈরি করতে অনেকটা সময় নিয়ে নেয় বিসিবি। তবে এবার তারা জানুয়ারি মাসেই প্রকাশ করতে পারল এটি। গতবারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল তারা মার্চ মাসে। গতবারের মতো এবারও চুক্তিতে ঠাঁই হয়েছে ২১ জনের। সেখানে বাদ পড়েছেন চারজন, এসেছেন চারজন। নতুন করে জায়গা পাওয়াদের মধ্যে জাকির হাসান ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ আছেন শুধু টেস্টে, মোসাদ্দেক হোসেন ও হাসান মাহমুদ আছেন শুধু টি-টোয়েন্টিতে। জাকির গত মাসে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে আবির্ভাবেই দারুণ পারফর্ম করেছেন। খালেদ এখন টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। গত বছর বাংলাদেশের ১০ টেস্টেই ৮টিতেই খেলেছেন এই পেসার।

বাদ পড়েছেন ইয়াসির আলি চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রথম তিনজন ছিলেন শুধু টেস্টের চুক্তিতে, নাঈম ছিলেন শুধু টি-টোয়েন্টিতে। ইয়াসির বাংলাদেশের সবশেষ সিরিজে টেস্ট ও ওয়ানডে যেমন খেলেছেন, তেমনি ছিলেন সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। কিন্তু এবার কোনো চুক্তিতেই তার জায়গা হলো না। মিরাজের সঙ্গে তিন সংস্করণের চুক্তিতে অনুমিতভাবেই আছেন সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস ও তাসকিন আহমেদ। এই তিনজন গতবারও ছিলেন তিন সংস্করণেই। মিরাজ গত চুক্তিতে ছিলেন শুধু টেস্ট ও ওয়ানডেতে। গতবার তিন সংস্করণে থাকা মুশফিকুর রহিম গত বছর অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে। এবার তাই শুধু টেস্ট ও ওয়ানডের চুক্তিতে আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তিন সংস্করণে গতবারের তালিকা থেকে নাম কাটা যাওয়া আরেকজন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারকে এবার রাখা হয়েছে শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। গত বছর ৪ টেস্ট খেলে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গতবার শুধু টি-টোয়েন্টি দলে থাকা নুরুল হাসান সোহান এবার এই সংস্করণের সঙ্গে আছেন টেস্টের চুক্তিতেও। গত বছর ৫ টেস্ট খেলে ২৯.৩৩ গড়ে ২৬৪ রান করেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান, ডিসমিসাল করেছেন ১৭টি। টেস্টে তাকে এখন বিশেষজ্ঞ কিপার হিসেবে নিয়মিতই খেলাচ্ছে দল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সোহানের সঙ্গে আছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। গত চুক্তিতে তিনি ছিলেন শুধু টেস্টে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮০ রান করেন এই ওপেনার। গত বছর টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর একাদশে জায়গা হারিয়ে পরে বছরের শেষ দিকে আবার ফিরে পারফর্ম করা মুমিনুল হক টিকে গেছেন টেস্ট চুক্তিতে। তার সঙ্গে শুধু টেস্টের জন্য আছেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। মুস্তাফিজুর রহমান ও আফিফ হোসেন আগেরবারের মতোই আছেন শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনরা এবারও চুক্তিতে জায়গা পাওয়ার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি।