দেশের কাবাডিতে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন অধ্যায়। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মত শুরু হচ্ছে কর্পোরেট ওমেন্স কাবাডি লিগ। ৬ দল নিয়ে আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে গড়াবে ১০ দিনের এই লিগ। গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনের ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে আসরের বিস্তারিত তুলে ধরেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক, লিগ কমিটির কো-চেয়ারম্যান গাজী মো. মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব আরিফ মিহির।
হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের নারী খেলোয়াড়দের আর্থিক দিক বিবেচনা করে প্রথমবারের মতো মেয়েদের করপোরেট কাবাডি লিগ আয়োজন করা হচ্ছে। আজ শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কাবাডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ডাবল লিগ পদ্ধতির এই প্রতিযোগিতা। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলা ৬ জন খেলোয়াড়কে ৬ দলের আইকন করা হয়েছে। ছয়টি দলের মালিকানায় রয়েছে ছয়টি করপোরেট হাউজ, বেঙ্গল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স, আহসান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় মতলব থান্ডার, ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় নরসিংদী লিজেন্ডস, ব্রিজ ফার্মার পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা টুয়েলভ, টেকনো মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় টেকনো মিডিয়া ও নারায়ণগঞ্জ গ্লাডিয়েটর্স। মতলব থান্ডারের আইকন শারমিন সুলতানা রিমা, বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের আইকন হাফিজা আকতার, নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্সের আইকন দিশা মনি সরকার, ঢাকা টুয়েলভের আইকন রেখা আকতার, নরসিংদী লিজেন্ডসের আইকন রুপালী আকতার ও টেকনো মিডিয়ার আইকন স্মৃতি আকতার।
‘দেশের নারী ক্রীড়াঙ্গনে যাদের পদচারণা তারা সবাই মফস্বল থেকে উঠে আসা মধ্যবিত্ত পরিবারের। ক্রিকেট, ফুটবলের মেয়েরা সারা বছর খেলার মধ্যে থেকে ভালো টাকা পাচ্ছে। কিন্তু আর কোনো খেলায় পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। কাবাডি খেলেও মেয়েরা খুব বেশি টাকা পায় না। করপোরেট লিগ হলে কাবাডির মেয়েরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তখন মেয়েরা কাবাডির প্রতিও আগ্রহী হবে। তখন পর্যাপ্ত খেলোয়াড় পাওয়া গেলে সেখান থেকে অধিক সংখ্যক মেধাবী খেলোয়াড় খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। আমরা বিশ্বাস করি, করপোরেট লিগ দেশের নারী কাবাডির জাগরণ ঘটবে’- জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। করপোরেট লিগের খেলার মান বাড়াতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে গত বছর অনুষ্ঠিত আইজিপি কাপ অনূর্ধ্ব-১৮ যুব কাবাডি থেকে বাছাই করা খেলোয়াড় মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন নারী খেলোয়াড়কে ২ মাস আবাসিক ক্যাম্পে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্য থেকে ৭৮ জনকে নিয়ে ছয়টি দল করা হয়েছে।
