রংপুর রাইডার্সের দারুণ জয়

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ঢাকায় বিপিএল ফেরার প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিল রংপুর রাইডার্স। শোয়েব মালিকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি গড়ার পর পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ও তরুণ বাংলাদেশি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে ১২৪ রানে অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম, খেলতে পারে মাত্র ১৬.৩ ওভার। রংপুর পেয়েছে ৫৫ রানের জয়। চলতি আসরে ৬ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল নুরুল হাসান সোহানের দল। তবে মিরপুর স্টেডিয়ামে ১৮০ রান তাড়ায় নামা চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ১২৪ রানে। অসুস্থতার কারণে আফিফ হোসেন ব্যাটিং না করায় ৯ উইকেটেই সমাপ্ত হয় চট্টগ্রামের ইনিংস। চাপ সামলে দাপুটে ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত গড়ে দিলেন শোয়েব মালিক। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাকি কাজ সারলেন বোলাররা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বড় ব্যবধানে জিতল রংপুর। রান তাড়ায় নেমে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রকিবুল হাসানের করা ইনিংসের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন উসমান খান (৪)। পরের ওভারে আজমতুল্লাহ ফিরিয়ে দেন তৌফিক খানকে (০)। তৃতীয় ওভারেও উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। রকিবুলের বলে স্টাম্পড হয়ে যান অপর ওপেনার খাজা নাফা (৬)। এরপর দারউইশ রাসুলি এবং অধিনায়ক শুভাগত হোম মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৬৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির অবসান ঘটে রাসুলির (২১) বিদায়ে।

উইকেটে এসে ঝড় তুলেছিলেন জিয়াউর রহমান। তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১২ বলে ১ চার ৩ ছক্কায় থামে তার ইনিংস। রকিবুলকে বাউন্ডারি মেরে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন শুভাগত। অবশ্য নতুন ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। এভাবেই থামে ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস। এরপর আর কেউই চট্টগ্রামের ইনিংসকে টেনে নিতে পারেননি। ১৬.৩ ওভারে মাত্র ১২৪ রানে অল আউট হয় চট্টগ্রাম। অবশ্য আফিফ হোসেন ‘অ্যাবসেন্ট হার্ট’ হয়েছেন। ৫৫ রানের দারুণ জয় তুলে নেয় রংপুর। ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। ২টি নেন রকিবুল।

এর আগে মিরপুর শেরেবাংলায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের তৃতীয় বলেই মেহেদি হাসানকে (১) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। তিনে নেমে পারভেজ হোসেন ইমন ব্যর্থ। ১০ বলে ৬ রানে শুভাগতর দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। উইকেটে আসেন শোয়েব মালিক। অপর ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে তার জুটিটা জমে উঠেছিল। তবে ২৯ বলে ৩৪ রানে নাঈম ফিরলে জুটি ভাঙে। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আজমতুল্লাহ ওমরাজাইকে নিয়ে পাল্টা আক্রামণ শুরু করেন শোয়েব মালিক। রংপুরের নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ফেরায় মালিকের ওপর নেতৃত্বের চাপও নেই। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। শটগুলো ছিল চোখণ্ডজুড়ানো। শোয়েব শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ৫টি ছক্কা। আজমতুল্লাহ ২৪ বলে ১ চার এবং ৪ ছক্কায় ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শোয়েব-আজমতুল্লাহর চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসেছে ১০৫ রান। রংপুর রাইডার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৯ রান। ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি রানা। শুভাগত হোম নিয়েছেন ২টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রাইডার্স : ২০ ওভারে ১৭৯/৬ (শেখ মেহেদি ১, নাঈম ৩৪, পারভেজ ৬, মালিক ৭৫*, ওমারজাই ৪২, নাওয়াজ ৭, শামীম ৭, রকিবুল ০*; শুভাগত ৩-০-১৩-২, আফিফ ২-০-১৩-০, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-৩১-০, ভিজয়াকান্থ ৪-০-৪১-১, তাইজুল ৩-০-৪১-০, মেহেদি রানা ৪-০-৩৯-৩)।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৬.৩ ওভারে ১২৪ (উসমান ৪, নাফে ৬, তৌফিক ০, রাসুলি ২১, শুভাগত ৫২, জিয়াউর ২৪, ভিজয়কান্থ ৬, মৃত্যুঞ্জয় ৭*, মেহেদি রানা ০, তাইজুল ১, আফিফ আহত অনুপস্থিত; রাকিবুল ৪-০-২৪-২, ওমারজাই ৩-০-২৩-১, হারিস ৩.৩-০-১৭-৩, নাওয়াজ ২-০-২০-০, হাসান ৩-০-৩৪-১, শেখ মেহেদি ১-০-৪-১)

ফল : রংপুর রাইডার্স ৫৫ রানে জয়ী;

ম্যাচ সেরা : শোয়েব মালিক।