সিলেট পর্ব শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। কিন্তু এই পর্ব থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আর পাচ্ছে না বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে পিসিবি। অর্থাৎ বাবর আজম, ওয়াসিম জুনিয়র, রিজওয়ান আহমেদের মতো তারকা ক্রিকেটার নকআউট পর্বে পাচ্ছে না দলগুলো। তাদের বিকল্প হিসেবে বিপিএলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বৈশ্বিক বড় বড় তারকা ক্রিকেটার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইংল্যান্ডের মঈন আলী, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারিন আর ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানকে নিশ্চিত করেছে। ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগ শেষ হলেই বিপিএলে খেলতে পারবেন তারা। আরব আমিরাতের এই লিগ শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। তখনও বিপিএলের নকআউটের খেলা বাকি থাকবে। সেরা চার নিশ্চিত ধরেই বিকল্প বিদেশি ক্রিকেটার নিশ্চিত করে রাখছে কুমিল্লা। ফরচুন বরিশালে পাকিস্তানি ক্রিকেটার আছেন তিনজন। তারাও ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে যাবেন। তাই বরিশালও বিকল্প ক্রিকেটার নিয়ে রেখেছে। যেদিন ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনাল, সেদিনই পাকিস্তানে গড়াচ্ছে পিএসএল। ওই লিগের অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার চেষ্টা করছেন বিপিএলের নকআউট পর্বে খেলতে। ইংল্যান্ড ও ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের দলে টানার চেষ্টা করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তাই কাইরন পোলার্ডের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বড় তারকাও দেখা যেতে পারে তখন।
২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ৮টি ম্যাচ। এরপর আবারও ঢাকায় ফিরবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসরটি, পরের পর্ব শুরু ৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আর পাচ্ছে না বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও।
বিপিএলের সব দলেই আছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। এবারের আসরে মোট ২২ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলছেন। ব্যাটে-বলে আলো ছড়াচ্ছেন মূলত তারাই। এখন পর্যন্ত বিপিএলে হওয়া তিনটি সেঞ্চুরিই করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। একই ম্যাচে আজম খান ও উসমান খান সেঞ্চুরি করেন, ক’দিন পর সেঞ্চুরি করে ইফতিখার আহমেদ।
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে এসেছে আরও কিছু দারুণ ইনিংস। বল হাতেও তাদের দাপট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষে আছেন ওয়াহাব রিয়াজ। মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিমসহ বাকিরাও পারফর্ম করছেন। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা সবাই ফিরে গেলে বিবর্ণ বিপিএল যে আরও রংহীন হয়ে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) কারণে ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠিয়েছে পিসিবি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে পিএসএলের পরের আসর। টুর্নামেন্ট শুরুর বেশ কদিন আগে দলে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি আছে পিএসএলের দলগুলোর। তাদের অনুরোধেই ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠিয়েছে পিসিবি। পিএসএলের কারণে আগেই ফিরে যেতে হবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের, এটা অবশ্য আগেই জানা ছিল বিপিএলের দলগুলোর। পিএসএলের দলগুলোর সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে এটা জানতেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা আগেই ঠিক করা ছিল যে, কয় তারিখ পর্যন্ত খেলতে পারবে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। পিসিবির সঙ্গে পিএসএলের দলগুলোর বোঝাপড়ার ব্যাপার এটা। ব্যাপারটা ছিল পিএসএল শুরুর আগে সব খেলোয়াড়কে রিলিজ করে দিতে হবে। ১৫ দিন তো আরও আগে হয়, কিন্তু বিপিএলে খেলছে বলে একটু সময় বাড়িয়েছে।’
