আলোচনায় সাফ ও বিশ্বকাপ বাছাই

জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের অফিসে গতকাল সকালে হাজির জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। জাতীয় দল কমিটি প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন ২০২৩ সালের পরিকল্পনা নিয়ে। বৈঠক শেষে বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ জানান, ‘ওর (কোচ হাভিয়ের কাবরেরা) সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয়েছে। মার্চে ফিফা উইন্ডো রয়েছে। প্রস্তুতি কেমন হতে পারে, কাদের সঙ্গে খেলতে পারি। জুন-জুলাইতে হতে পারে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফের জন্য প্রস্তুতি যেন ভালো হয় সেটাকে কেন্দ্র করে আলোচনা। তবে সবই প্রস্তাবনা আকারে আলোচনা হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ২০ জুন থেকে ৩ জুলাই; তবে ভেন্যু এখনো নির্ধারণ হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে ভালো ফল করাই এখন মূখ্য বিষয় বাফুফের। এবছর ফুটবলকে ঘিরে প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন নাবিল, ‘এ বছর আমাদের বেশ কিছু ইভেন্ট রয়েছে। সাফ ছাড়াও বিশ্বকাপ বাছাইও শুরু হবে। অবশ্যই চাইব যেন ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হোক। বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে আসতে পারি। এটা এক দিনে হবে না। ধাপে ধাপে হতে হবে। এছাড়া সব সময় যেটা থাকে সাফ কেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা, সেই সাফে ভালো করা নিয়ে সব ধরনের আলোচনা হয়েছে।’ ফিফা উইন্ডো ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে কাজ শুরু করতে চান জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। পুরনো সব চাওয়া নিয়ে নতুন বছরের পরিকল্পনা চলছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করা, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নামতে নামতে প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের।

নতুন চুক্তি করার পর আলোচনায় বসে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও জানালেন, চাওয়া পূরণে মাঠের প্রস্তুতি শুরুর প্রয়োজন। কোচ কাবরেরা সম্পর্কে কাজী নাবিল বলেন, ‘কাবরেরা এক বছর ধরে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। গত বছর জুনে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিলাম। শক্তিশালী বাহরাইনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমরা ২-০ গোলে হেরেছিলাম। তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে ২-১ গোল হারতে হয়েছে। আলটিমেটলি আমাদের শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে। কাবরেরা এক বছর ধরে কাজ করছে। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তার ধারণা তৈরি হয়েছে। এই বছর আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি।’ ২০০৩ সালে প্রথম ও সবশেষ সাফের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের আসরে ফাইনালে উঠলেও হেরেছিল ভারতের কাছে।