ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

সেই অস্ট্রেলিয়ায় জোকোভিচের বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়া

সেই অস্ট্রেলিয়ায় জোকোভিচের বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়া

স্বপ্নের মতোই প্রত্যাবর্তন। ভ্যাকসিন না নেয়ায় গত বছর এই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে খেলতে পারেননি নোভাক জোকোভিচ। নানা নাটকের পর উল্টো অপবাদ দিয়ে মাথা নিচু করে ছাড়তে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বছর ঘুরতেই বদলে গিয়েছে সব। এবার সেই দেশ থেকেই ফিরছেন রাজার বেশে। ছুঁয়ে ফেলেছেন রাফায়েল নাদালের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের বিশ্বরেকর্ড।

?অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রাজা জোকোভিচ। রড লেভার অ্যারেনায় ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৭-৬ (৭-৫) গেমে গ্রিসের স্টেফানো সিৎসিপাসকে হারিয়ে আবার চ্যাম্পিয়ন এই সার্বিয়ান। এই নিয়ে দশমবার এককে চ্যাম্পিয়ন হলেন, যেটি জোকোভিচের ক্যারিয়ারের ২২ নম্বর গ্র্যান্ডস্ল্যাম ট্রফি, তাতে ছুঁয়ে ফেললেন রাফায়েল নাদালকে। গত বছর ২২ নাম্বার গ্র্যান্ডসøামে চুমু এঁকেছিলেন স্প্যানিশ তারকা নাদাল। এখানেই শেষ নয়, মেলবোর্নে সর্বোচ্চ ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মালিক ছিলেন জাকোভিচ, সেই রেকর্ডও বাড়িয়ে নিলেন। শিরোপার লড়াইয়ে প্রথম সেটে জকোভিচের সামনে পাত্তাই পাননি সিৎসিপাস, ম্যাচের প্রথম সেটে হেরেছেন ৬-৩ গেম পয়েন্টে। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান এই গ্রিক তারকা। কিন্তু ৬-৬ ব্যবধানে সেট শেষ হলে টাইব্রেকারে ৭-৪ ব্যবধানে হেরে যান তিনি। পরপর দুই সেটে হেরে আর ঘুরে দাঁড়ানো হলো না গ্রিক তারকার। এই তরুণের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের অপেক্ষা বাড়িয়ে সবচেয়ে বেশিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করলেন জোকোভিচ, নিশ্চিত করলেন র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফেরাও। রড লেভার অ্যারেনায় রানারআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো সিৎসিপাসকে। প্রথমবার গ্রান্ডস্ল্যাম জয়ের সুযোগ পেয়ে অধরা শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারলেন না তিনি। এর আগেও ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে উঠে হতাশ হতে হয়েছিল গ্রিক তারকাকে। সেবারও হেরেছিলেন জকোভিচের কাছেই। এবারও তার কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকলেন জোকোভিচ। জয়ের পর শুরুতে জোকোভিচের উদযাপন ছিল সাদামাটা। সিৎসিপাসের সঙ্গে করমর্দন করে লাফিয়ে উঠে যান প্লেয়ার্স বক্সে। সেখানে জড়িয়ে ধরেন দলের ও পরিবারের সদস্যদের। এরপর দুই হাত উঁচিয়ে খ্যাপাটে উদযাপনে মাতেন তিনি। ২০২১ সালে মেলবোর্নে নবম শিরোপা জয়ের পর মুকুট ধরে রাখার মিশনে গতবার অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় জোকোভিচের। করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়ায় টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন দেশটি থেকে বিতাড়িত হতে হয় তাকে। সেই হতাশা পেছনে ফেলে আবার প্রিয় আঙিনায় ট্রফিতে চুমু আঁকলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই নিয়ে রেকর্ড টানা ৪১ ম্যাচ জিতলেন জোকোভিচ, ২০১৮ সালের আসরে চতুর্থ রাউন্ড থেকে বিদায়ের নেওয়ার পর দেশটিতে তিনি আর হারেননি। এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বেশ ভুগিয়েছে জোকোভিচকে। এবারের অর্জনকে জীবনের সবচেয়ে বড় জয় বলছেন তিনি, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার জীবনে খেলা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্টগুলির একটি এটি। গত বছর না খেলে এই বছর এখানে এসেছি। সেই সব লোকেদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে স্বাগত জানিয়েছে, আমাকে মেলবোর্নে থাকতে এবং অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত