ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফাইনালের লক্ষ্য বাংলাদেশের

ফাইনালের লক্ষ্য বাংলাদেশের

ঘরের মাঠে আরেকটি দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট, লাল-সবুজ কিশোরীদের সামনে আবার হাতছানি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ৩ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানকে নিয়ে চার জাতির সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই নতুন মুখ নিয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফের দল দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। গত সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে জাতীয় দলের স্কোয়াডের ছয়জন রয়েছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলে। নিয়মিত খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন দুজন। ‘ধাপে ধাপে উন্নতি করে ফাইনাল খেলা’র লক্ষ্য কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক শামসুন্নাহারের। লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে ৩, ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি প্রতি দিন দুটি ম্যাচ। চার দলের মধ্যে শীর্ষ দুটি দল ৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল খেলবে। উদ্বোধনী দিনে নেপালের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৫ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং ৭ ফেব্রুয়ারি খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।

গতবার এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সিদের নিয়ে। সেবার ভারতের সমান পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার শিরোপা চাই স্বাগতিকদের। লক্ষ্যপূরণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গতকাল ২৩ জনের দল দিয়েছেন কোচ ছোটন। একেবারে নতুন মুখ আইরিন খাতুন ও আফরোজা আক্তার। এই দুই ফরোয়ার্ড গত লিগে খেলেছেন যথাক্রমে নাসরিন একাডেমি ও জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশের হয়ে। আক্রমণভাগে অবশ্য মূল চাওয়া থাকবে আকলিমা খাতুনের ওপর। এআরবি স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে গত লিগে রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন তিনি। দেশের ফুটবলের সেরা তারকা সাবিনা খাতুনকে (১৯টি) বেশ পেছনে ফেলে জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার (২৫টি) পুরস্কার। ছোটন অবশ্য দলে স্কোরারের কমতি দেখছেন না। গোল করার সামর্থ্য জাতীয় দলের বিপক্ষে খেলা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখিয়েছে আকলিমা-আফরোজারা। এক মাসের প্রস্তুতিতে বাইরের দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ মেলেনি তাদের, কিন্তু জাতীয় দলের বিপক্ষে খেলা ?দুই ম্যাচে জয় ২-১ ও ৩-০ গোলের। মূল সাফে খেলা ছয় জন আছে বয়সভিত্তিক এই দলটিতে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার পাল্লায় বর্তমান দলটিকে ‘ভারি’ মনে হচ্ছে ছোটনেরও। মূল সাফের প্রাপ্তির ভার মেয়েরা বয়ে নিতে পারবে বলে বিশ্বাস কোচের। ভারত দলটি গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলেছে। যদিও নিজেদের মাঠে হওয়া আসরে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি, তিন ম্যাচে ১৬ গোল হজম করে এবং সবগুলো হেরে ছিটকে যায়, তবে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতায় তাদেরকে আলাদাভাবে সমীহ করছেন ছোটন, ‘খেলাধুলায় হার-জিত আছে। নেপাল ও ভারত এখানে শক্তিশালী দল। এটাও নিশ্চিত, আমাদের মেয়েরা যে ভালো খেলবে, সে আত্মবিশ্বাস আছে, তারা প্রথম দিনের প্রস্তুতি থেকেই সেভাবে অনুশীলন করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত