সাকিবদের হারিয়ে দিল ঢাকা

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারাল ঢাকা ডমিনেটর্স। ডাগআউটের দিকে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন মোহাম্মদ মিঠুন, হাত তুলে দেখালেনও কিছু একটা। হেলমেটের গ্রিলের ফাঁক দিয়েও স্পষ্ট ফুটে উঠল তার হাসিটুকু। চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ, ওপরের দিকে তাকিয়ে হয়তো সেই স্বস্তিটুকুই বোঝাতে চাইলেন। অবশেষে ফিফটির দেখা মিলল! এমন কোনো বড় ইনিংস নয়। কাজ শেষ করেও ফিরতে পারেননি। তবে আসরে দশম ম্যাচ খেলে প্রথম ফিফটির স্বাদ অন্তত পেলেন মিঠুন। বরিশালকে হারিয়ে চমকে দিল তার দল ঢাকাও।

এমনিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে, বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে অঘটন বা চমক বলে তেমন কিছু নেই। তবে এই টুর্নামেন্টে দুই দলের যা বাস্তবতা, তাতে ঢাকার জয় অনেকটা ছিল অপ্রত্যাশিতই। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ১৫৭ রান তাড়ায় ঢাকার জয়ের ভিত গড়ে দেন মিঠুন। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। মিঠুনের সঙ্গে সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিই ঢাকাকে এগিয়ে নেয় লক্ষ্যের প্রায় অর্ধেক পথ। আগ্রাসনের শুরুটা করেন সৌম্য। দ্বিতীয় ওভারে চোখজুড়ানো এক শটে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কায় ভাসিয়ে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের বল। পরের ওভারে দুটি চার মারেন সাকিব আল হাসানকে। মিঠুন শুরুতে ছিলেন অনেকটা পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। ৫ ওভার শেষে তার রান ছিল ১৮ বলে ১৮। পরের ওভারে বদলে যায় তার রূপ। সৈয়দ খালেদ টানা তিন বলে মারেন দুটি ছক্কা ও এক চার। প্রথমটি সোজা ব্যাটে নান্দনিক শটে, পরেরটি পুল শটে, শেষটি কাট করে। আরেক পাশে সৌম্য ছক্কা-চারে বোলিংয়ে স্বাড়ত জানান সানজামুল ইসলামকে।

৭৪ রানের জুটি ভাঙে নীরিহ এক বলে সৌম্যর বিদায়ে। করিম জানাতের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে হালকা ব্যাট ছুঁইয়ে তিনি উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ২২ বলে ৩৭ রান করে। তবে মিঠুন দলকে এগিয়ে নেন আরেকটু দূর। তিনি ফেরার পর মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যালেক্স ব্লেইক, আরিফুল হকরা। তবে কাজ শেষ করে ফেরেন নাসির হোসেন। বরিশালের হয়ে ওপেনিংয়ে ৩৫ বলে ৪২ রান করেন এনামুল হক। তবে টপ ও মিডল অর্ডারের অন্যদের ব্যর্থতায় ধুঁকছিল দল। মাহমুদউল্লাহ ছয়ে নেমে করেন ২৭ বলে ৩৯। পরে ৫ বলে ১৭ রান করে দলকে দেড়শ পার করান জানাত। তাদের শুরুটায় ছিল বড় কিছুর ইঙ্গিত। চোট কাটিয়ে আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শরিফুল ইসলামের প্রথম ওভারে ১২ রান নিয়ে শুরু করেন সাইফ হাসান ও এনামুল হক। এরপর একটু থমকে যান দুজনই। পরে আবার কয়েকটি বাউন্ডারিতে পাওয়ার প্লেতে দুজন তোলেন ৪১ রান।