ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দৌড়ে পিছিয়ে গেল শেখ জামাল

দৌড়ে পিছিয়ে গেল শেখ জামাল

ম্যাচের বড় অংশ ?জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করেছিল পেশাদার যুগে প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। প্রথমার্ধ্বে সুযোগ তৈরির পাশাপাশি কাজেও লাগালেন আবাহনীর পিটার এনওরাহ ও ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস। বিবর্ণতা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ্বে দাপট দেখিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতেই জয়ের হাসি শেষ পর্যন্ত আকাশী-নীল জার্সিধারীদের। এই জয়ের ফলে আট ম্যাচে পাঁচ জয় ও তিন ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মারিও লেমোসের দল। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ২৪। এই হারে ২০১৪-১৫ মৌসুমে সবশেষ লিগ শিরোপা জেতা দলটি শিরোপা লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়ল আরও, ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তাদের।

ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ১-০ গোলে হারায় উত্তরা আজমপুরকে হারায়। প্রথমার্ধে ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য। লালকার্ড দেখায় ৫০ মিনিটে উত্তরা আজমপুর ১০ জনের দলে পরিণত হয়। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে শেখ রাসেল। মিনিট পাঁচেক পরেই তারা জয়সূচক গোলটি করে। পেনাল্টি থেকে দিদিয়ের করা গোলের পর আর কেউই বল জালে জড়াতে পারেনি। ৭ ম্যাচ শেষে উত্তরার দলটি ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে। আরেক ম্যাচে পুলিশ ২-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। মালিকভের পেনাল্টি গোলে ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় পুলিশ। বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাতেও। ম্যাচের ৭২ মিনিটে করা গোলটি তাদের জয় নিশ্চিত করে। দারুণ এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পুলিশের। এই হারে রহমতগঞ্জ ৭ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে।

লিগে দুই দলের আগের ম্যাচের স্মৃতি শেখ জামালের জন্য দুঃসহ। ৫-০ গোলে স্রেফ খড়কুঁটোর মতো উড়ে গিয়েছিল ধানমন্ডির দলটি। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে গতকাল এ ম্যাচের শুরুটাও দুর্দান্ত করে আবাহনী। প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ দিয়ে সুযোগ তৈরি করতে থাকে তারা। অষ্টম মিনিটে রাফায়েলের ছোট পাসে সোলেরার শট গোলরক্ষক নাঈম আঙুলের টোকায় কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান। দুই মিনিট পর আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি নাঈম। ইউসেফ মোহাম্মদের ক্রসে পিটার এনওরাহর হেড জালে জড়ায়। শুরু থেকে সতীর্থদের বলের জোগান দিতে বেশি ব্যস্ত ছিলেন কলিনদ্রেস। আক্রমণের ভার ছিল রাফায়েল, এনওরাহদের কাঁধে। ১৫ মিনিটে রাফায়েলের বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক। ২২ মিনিটে ওতাবেকের ফ্রি কিক ফেরান শহীদুল আলম সোহেল; প্রথমার্ধে এটাই ছিল শেখ জামালের উল্লেখ করার মতো একমাত্র আক্রমণ। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের উচ্ছ্বাসে মাতে আবাহনী। ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে পিটার টোকায় বল বাড়ান, নিচু বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন কলিনদ্রেস। লিগে কোস্টা রিকার ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৫টি।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা ফুটে ওঠে শেখ জামালের খেলায়। ৫৪ মিনিটে কর্নেলিয়াসের ফ্রি কিকে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা সুলাইমান সিল্লাহ অনেকটা লাফিয়ে হেড করলেও বল যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ৬৩ মিনিটে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কাছের পোস্টে নেওয়া ওতাবেকের শট কোনোমতে হাঁটু দিয়ে আটকান আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল। ৭০ মিনিটের স্পট কিকের পরীক্ষায় অবশ্য পারেননি শহীদুল। কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের পেনাল্টি শটে গতি থাকায় বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি তিনি। সোহানুর রহমান সোহানকে বক্সের ভেতরে রেজাউল রেজা ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়েছিল শেখ জামাল। চলতি লিগে বসুন্ধরা কিংসের দরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তো ও শেখ রাসেলের এমফন উদোহর মতো কর্নেলিয়াসের গোলও হলো ৭টি। ঘুরে দাঁড়ানো গোল পুজি করে বাকিটা সময়ে আর কোনো চমক দেখাতে পারেনি শেখ জামাল। শেষ পর্যন্ত চলতি লিগে তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পেতে হয় তাদেরকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত