ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এখন এক-দুইয়ে থাকার লড়াই

এখন এক-দুইয়ে থাকার লড়াই

সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সÑ চার দলের প্রত্যেকের চোখ শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুবিধা হলো সেই ম্যাচটি হারলে তারা ফাইনালে যাওয়ার জন্য আরেকটি সুযোগ পাবে। খেলতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। এছাড়া তিন ও চার নম্বরে থাকা দল খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচ। ওই ম্যাচে যারা জিততে তারা চলে যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে, পরাজিত দল বিদায় নেবে বিপিএল থেকে। বিপিএলের লড়াই এখন এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেখানে চার দলের সামনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় সুযোগ। সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স টিকে আছে শিরোপার লড়াইয়ে। বাদ পড়েছে খুলনা টাইগার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা ডমিনেটর্স। শিরোপা হাতছাড়া করতে চায় না চার দলের কেউ। এজন্য সামনের ম্যাচগুলোতে জয় ভিন্ন কেউ কিছু চিন্তাও করতে পারছে না। পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা ফরচুন বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল যেমন বললেন, ‘সবাই এখন দৌড়ে আছে। তাই সবগুলো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’

মাশরাফির সিলেটের বেশি সুযোগ কোয়ালিফায়ার ওয়ানে খেলার। সিলেটের ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে পয়েন্ট ১৬। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেলেই তারা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে খেলবে কোয়ালিফায়ারা। বরিশাল, কুমিল্লা ও রংপুরের পয়েন্ট ১৪ করে। তিন দলেরই সুযোগ আছে শীর্ষ দুইয়ে খেলার। এই লড়াই থেকে ছিটকে যেতে চায় না কেউ। ফরচুন বরিশালের কোচ আরও বলেছেন, ‘এখন যে সমীকরণ দাঁড়িয়েছে, সেটা হচ্ছে এক দুইয়ে যাওয়ার জন্য। চারটা দলের মধ্যেই সম্ভাবনা আছে। আমরাও ওই রেসের মধ্যে আছি। একটা ম্যাচ হেরে গেলে রেস থেকে ছিটকে যাবো। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত থাকবোই। সামনে দুইটা ম্যাচ আছে। আমরা যদি ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে আমাদের সম্ভাবনা আছে।’ রংপুর ৮ উইকেটে হারিয়েছে সিলেটকে। টানা জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকা রংপুরের কোচ সোহেল ইসলামও নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করতে চায় শীর্ষ দুই, ‘আমরা শেষ পাঁচটি ম্যাচই জিতেছি। আমাদের সুযোগ আছে সেরা দুইয়ে খেলার। জয়ের যে ধারাবাহিকতা আছে, যে প্রক্রিয়ায় ছেলেরা খেলছে সেটা ধরে রাখতে পারলে অবশ্যই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’ বিপিএলে চলছে দুদিনের বিরতি। গতকাল খেলা ছিল না, খেলা নেই আজও। দুদিনের এ বিশ্রাম শুধু ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করছে না, লম্বা প্রতিযোগিতায় পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও সুযোগ করে দিয়েছে। প্রায় দেড়মাসের এ প্রতিযোগিতায় ছোট এ বিরতিতে ক্রিকেটাররা বেশ চনমনে, ফুরফুরে হয়ে উঠেন বলে জানালেন স্থানীয় দুই কোচ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত