সুজনের চোখে হাথুরেসিংহ আরো পরিণত

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

৯ বছর আগে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব যখন নিয়েছিলেন চন্দিকা হাথুরেসিংহে, তখন এই শ্রীলঙ্কানের বয়স ছিল ৪৫। এখন সেই হাথুরুসিংহের বয়স ৫৪, অনেক পরিণত। তরুণ কোচ হিসেবে প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ দলকে হোমে পরাশক্তিদের আতঙ্ক হিসেবে উপস্থাপনের কৃতিত্ব তার। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত করে, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে সেমিফইনালে তুলে কোচিং প্রোফাইলটা বাড়িযে নিয়েছেন। এমন কোচকে সাড়ে ৫ বছর পর ফিরিয়ে এনে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন হাথুরেসিংহের আমলে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে হাথুরেসিংহের যুগ। চলতি মাসের ২০ তারিখেই তার দায়িত্ব নেয়ার কথা। দেশের ক্রিকেটঙ্গনে গুঞ্জন- ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ঠিক রাখতে ও দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে হাথুরুকে ফের আনা হচ্ছে। কারণ, শ্রীলঙ্কান এই কোচ ‘কড়া হেডমাস্টার’ হিসেবে পরিচিত। তবে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, হাথুরু মোটেও কড়া হেডমাস্টার নন। বরং তিনি খুব ভালো মানুষ। খুলনা টাইগার্সের অনুশীলন শেষে গতকাল দলটির কোচ সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব ক্লিন ড্রেসিংরুম ছিল হাথুরার সময়ে। আমরা সবসময় একটা কথা বলি, মিডিয়াতেও শুনি যে হাথুরাসিংহেকে কড়া হেডমাস্টার বলা হয়। কিন্তু আমার মনে হয় তিনি মোটেও কড়া হেডমাস্টার নন। যেরকম করে আমরা বলি, সেরকম কিন্তু সে না আসলে। ও যেটা করেৃ আমি আসলে কী চাই? আপনি আমার পেছনে কথা না বলে সামনে কথা বলেন- এটা তো ভালো মানুষের লক্ষণ। আমি তো মনে করি হাথুরা ভালো মানুষ। হাথু কখনো পেছন থেকে কথা বলে না, হাথুরা যা বলে সামনাসামনি বলে।’ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন বলেন, পেছনে গসিপিংয়ের চেয়ে একটা খেলোয়াড়কে যদি সামনাসামনি বলেন যে, তোমার কাছে আমি এটা চাই কিংবা তোমার এই জিনিসটা ভালো না, এতে আমি খারাপ তো দেখি না।