অধিনায়ক শামসুন্নাহারের আক্ষেপের অবসান

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

এর আগে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দুই আসরে অধিনায়কত্ব করে ট্রফি জিততে না পারার বৃত্ত ভাঙলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে পেয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ সাফল্য। শামসুন্নাহার জুনিয়রের আক্ষেপ ছিল তবুও। অধিনায়ক হিসেবে যে শিরোপা জেতা হচ্ছিল না কোনোভাবেই! সে আক্ষেপ ঘুচল এবার।

আর কী দুর্দান্তভাবেই না পূরণ হলো সেই চাওয়া! শামসুন্নাহার এবার কেবল শিরোপা জয়ী অধিনায়ক নন, ৫ গোল দিয়ে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও নিজের করে নিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। এমন মুঠোভরে পাওয়ার উচ্ছ্বাসে শামসুন্নাহারের মনে পড়ছে অনেক কিছু। নেপালের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচে প্রথমার্ধে মাথায় চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য ‘স্মৃতিভ্রষ্ট’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে হাসপাতাল ঘুরে মাঠে ফিরে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন তিনি। রাউন্ড রবিন লিগে ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলা ম্যাচে উপহার দেন হ্যাটট্রিক। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ফাইনালে নেপালকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পথেও দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। প্রাপ্তির উচ্ছ্বাসে তাই ভেসে যাচ্ছেন শামসুন্নাহার।

“অনেক শিহরণ অনুভব করছি। এর আগে দুই আসরে অধিনায়কত্ব করে ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি, এই প্রথম শিরোপা জিতলাম। আমাকে নিয়ে সবার একটা আক্ষেপ ছিল। বলত, তুমি কেন শিরোপা আনতে পারো না? তোমার হাতে ট্রফি নাই।” “এবার আমি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি, আশা করেছি, এবার ঘরের মাঠে খেলা, ট্রফিটা যেন ঘরেই থাকে। সবচেয়ে বড় পাওয়া অধিনায়ক হিসেবে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, আমার টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা ভাগ্যের ব্যাপার। দলের সবাইকে ধন্যবাদ।” ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ দলে এবং গত বছর অনূর্ধ্ব-১৮ দলের অধিনায়ক ছিলেন শামসুন্নাহার। দুই আসরে ফাইনাল খেললেও শিরোপা জিততে পারেননি। এবার টুর্নামেন্টের শুরুতে চোট পাওয়ার পরও তার মনে হয়েছিল দলের স্বার্থের কথা। “আমি চোট পেয়েছিলাম, কিন্তু আমি যদি না থাকি তাহলে আমার টিম ইয়ে হয়ে যাবে তাই খেলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং আমি পেরেছি।”