ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যেখানে অনন্য রেফারি সালমা

যেখানে অনন্য রেফারি সালমা

পারিপার্শ্বিক নানা কারণে যে মেয়েটা বছর সাতেক আগে রেফারিং ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেই সালমা আক্তার মনি-ই এখন ইতিহাসের পাতায়! বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। গেল মাসে মালয়েশিয়ায় তার সাথে পরীক্ষা দিলেও পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন ফিফা ব্যাজধারী দুই রেফারি জয়া চাকমা ও নাসির উদ্দিন। আর জয়পুরহাটের মেয়ে সালমা হচ্ছেন বর্তমান সময়ে এএফসি রেফারিজ প্যানেলের দ্বিতীয় বাংলাদেশি প্রতিনিধি, তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামানের বিদায়ের পর ২০১৬ সাল থেকে যেখানে আছেন খুলনার মনির ঢালী। তবে তৈয়ব হাসান রেফারি হলেও সালমা ও মনির ঢালী দুজনই সহকারী রেফারি। সালমার এএফসির এলিট প্যানেলভুক্ত হওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। প্রথম নারী রেফারি হিসেবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ও প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ পরিচালনা করা সালাম দেশের প্রথম নারী হিসেবে এএফসি এলিট প্যানেলে নাম লেখানোয় উচ্ছ্বসিত, ‘প্রায় এক যুগের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এলিট প্যানেলে নাম লেখানোর চেয়ে সেখানে টিকে থাকা কঠিন। এ জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে।’ ২০১৩ সালে রেফারিং ক্যারিয়ার শুরু সালমা আক্তারের। ফিফা ব্যাচ পেয়েছেন ২০২১ সালে। একই বছর প্রথমবারের মতো এলিট প্যানেল রেফারি হিসেবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সব বিভাগে পাস করলেও দুটি ম্যাচের ভিডিও পাঠাতে না পারায় সে যাত্রায় এলিট প্যানেলভুক্ত হতে পারেননি। ২০২১ সালের শেষদিকে অনলাইনে পরীক্ষা দিলেও সফল হননি। তৃতীয় প্রচেষ্টায় এসে সফল হয়েছেন তিনি। গত ১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় এএফসি এলিট রেফারি রিক্রুটিং কোর্স করেছেন সালমা। সেখানে যে পরীক্ষা দিয়ে আসেন, তার ফলাফল হাতে পেয়েছেন গতকাল। কোর্সে সালমার সঙ্গী ছিলেন জয়া চাকমা ও নাসির উদ্দিনও। ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন সালমা আক্তার। শিক্ষকতার পাশাপাশি রেফারিং করছেন। এলিট প্যানেলে নিজেকে ধরে রাখার বিষয়ে তিনি জানান, ‘শিক্ষকতার পাশাপাশি এলিট প্যানেলে টিকে থাকতে হলে সামর্থ্যর সেরাটা দিতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত