ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এলিট একাডেমির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে বাফুফে

এলিট একাডেমির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে বাফুফে

বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের কণ্ঠেও আর্থিক সংকটের পুরনো সুর। গত বছর সেপ্টেম্বরে ৫১ জন উঠতি ফুটবলারকে নিয়ে এলিট একাডেমি শুরু করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ১৭ মাসের মাথায় এই একাডেমি চালিয়ে নেওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। কারণ হিসেবে তিনি শোনালেন সেই পুরনো কথাই-আর্থিক সংকট। বাফুফে ভবনে গতকাল বুধবার ডেভেলপমেন্ট কমিটি বৈঠকে বসে। আগামী জুলাইয়ে নেপালে হতে যাওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ, সেপ্টেম্বরে ভুটানে অনুষ্ঠেয় সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়াসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ দুটি প্রতিযোগিতার আগে মালয়েশিয়ায় গিয়ে কিংবা কোনো দেশকে ঢাকায় এনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা চলছে বলে জানান মানিক।

বৈঠকে কমিটির আওতাধীন ১৩ জন প্রশিক্ষক ও টেকনিক্যাল স্টাফদের চুক্তি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এলিট একাডেমিতে থাকা ৬৫ জন খেলোয়াড়কে বেতনের আওতায় আনা এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে যোগ দেওয়া সব খেলোয়াড়ের বেতন ২০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানান মানিক। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চলা এই এলিট একাডেমির খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিকের অঙ্ক ‘ভদ্রস্থ’ না বলেই এ নিয়ে মানিক মুখ খুললেন না। জানালেন কেবল শঙ্কার কথা। আর্থিক সংকট বোঝাতে তিনি টেনে আনলেন প্রচলিত কথা-পাতিলে নেই তো চামচে উঠবে কী করে? “আজকের (গতকাল) মিটিংয়ে প্লেয়ারদের বেতন ২০ শতাংশ বাড়িয়েছি। আসলে আমরা তো দিতে চাই কিন্তু আমার পাতিলে থাকলে তো চামচে উঠবে। তা না হলে তো উঠবে না। আমার পাতিল খালি, সেজন্য আমার চামচে উঠে না। কোচদেরকে যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, সেটা কিন্তু এএফসি, ফিফার বরাদ্দ থেকে দিয়ে থাকি।” “আমরা জোড়াতালি দিয়ে খেলোয়াড়দের বেতন দিচ্ছি। এটাকে বেতন বলা যাবে না, সম্মানি বলা যায়। তাদের পকেট খরচ হিসেবে দেই। আমাদের একাডেমিতে অনেক খরচ, একাডেমি চালানো খুব কষ্ট, আগামীতে আমরা এটা কতটুকু কন্টিনিউ করতে পারব, সেটা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আশা করি কন্টিনিউ করতে পারব, বাকিটা সময়েই বলে দেবে।” গত বছর এলিট একাডেমির খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল খেলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়ন। সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে ২-১ গোলে হারের আগে শ্রীলঙ্কাকে ৫-১ এবং ভুটানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল নাজিমণ্ডরানা-মোর্শেদরা। অর্থাভাবে এই খেলোয়াড়দেরকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে পারছেন না বলেও জানালেন মানিক। “আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলো করতে গেলে আমাদের টাকার দরকার, আমাদের আজকের মিটিংয়ে পল স্মলি এবং আমাদের অনেক সদস্য, যারা সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন, তাদেরও মতামত হচ্ছে, আমাদের এলিট একাডেমি যে বিসিএল (বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ) খেলছে, এবার আশা করি চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে। আমাদের ছেলেদের রেজাল্ট অনেক ভালো, ফিটনেস অনেক ভালো। কারণ আমরা এদের নিয়মিত অনুশীলন করাচ্ছি।” “আমাদের টিম অনেক মজবুত। এরা যদি আরও বেশি বেশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে পারে, আমরা আরও ভালো ফল করতে পারি, সাফে শিরোপা আনতে পারি, কিন্তু আমরা তো সেটা করতে পারছি না। এটা করতে গেলে যে টাকার প্রয়োজন, সে টাকা আমাদের কাছে নেই। যে কারণে আমরা ওদের দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলাতে পারছি না। বিসিএলে খেলিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত