ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইংলিশরা আসছেন আজ

ইংলিশরা আসছেন আজ

২০১৬ সালে সবশেষ ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। তিন ওয়ানডের পাশাপাশি দুই টেস্ট খেলেছিল অতিথিরা। ৭ বছর পর ইংলিশ লায়নরা আবার আসছে বাংলাদেশে। এবার তিন ওয়ানডের সঙ্গে খেলবে তিন টি- টোয়েন্টি। নেই কোনো টেস্ট ম্যাচ। দুই ভাগে ভাগ হয়ে তারা আজ শুক্রবার বাংলাদেশে আসছে। এক দল আসছে সন্ধ্যা সাতটায়। আরেকদল রাত ৮টায়।

দীর্ঘ এ সময়ে ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ইংল?্যান্ড সীমিত পরিসরের দুটি ফরম্যাটেই বিশ্ব চ?্যাম্পিয়ন। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শিরোপা তাদের। দুই চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় নিয়ে ইংল্যান্ড জাতীয় দল আজ শুক্রবার বাংলাদেশে পা রাখতে যাচ্ছে। সচরাচর ইংল্যান্ড দল যেখানেই সফরে যাক, নিজেদের মানিয়ে নিতে অন্তত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই। এবারো তাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তাদের আসারও কথা ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করে তাদের আসা পিছিয়েছে চার দিন। ১ মার্চ শুরু হবে দুই দলের প্রথম ওয়ানডে। মিরপুরে দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১২টায়। একই মাঠে ৩ মার্চ হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। এরপর তৃতীয় ওয়ানডে হবে ৬ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ।

সেখানেই ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর ১২ ও ১৪ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ। ওয়ানডে সিরিজ বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। যদিও উভয় দল এরই মধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ সফরের সঙ্গে পাকিস্তান সুপার লিগ সাংঘর্ষিক হওয়া এবং ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। পিএসএল খেলতে বাংলাদেশে আসছেন না দুরন্ত ফর্মে থাকা অ্যালেক্স হেলস। দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি মাতানো উইল জ্যাকসও থাকছেন না একই কারণে। এছাড়া স্যাম বিলিংস, লিয়াম ডউসন এই সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ইনজুরির কারণে জায়গা হয়নি জনি বেয়ারস্টো ও লিয়াম লিভিংস্টোনের।

প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যর্থ তামিমণ্ডমুশফিক

আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে গতকাল মিরপুর শেরেবাংলার মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। যেখানে নীল দল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলছেন তারা। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করেছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন নীল দল। আগে ব্যাট করে ৪২.৪ ওভারে ২০৫ রান অলআউট হয়েছে তামিমদের নীল দল। নীল দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। দেখে শুনেই খেলছিলেন এই দুই ওপেনার, ২ রান করতেই ফিরেছেন তামিম। দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাস, ফিরেছেন ৪৬ রান করে। জাকির হাসান ৮ ও ৬ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। মিডল অর্ডারে নেমে ৫৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ১৯। শেষ দিকে ৩২ বলে ২৮ রান করেন আমিনুল ইসলাম। সবুজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তিনটি উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। দুটি উইকেট গেছে রিশাদ হোসেনের ঝুলিতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত