গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে এবং মশাল প্রজ্বলনের মাধ্যমে শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাঠে বিওএ সভাপতি মশাল প্রজ্বলন করে হকি তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি এবং শুটার কামরুন নাহার কলির হাতে তুলে দিয়ে উদ্বোধন করেন বিওএ সভাপতি ও শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমসের কো-চেয়ারম্যান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। গেমসের প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর পরিচালনায় মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩’-এর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির সদস্য সচিব একে সরকার, বিওএ সদস্য আসাদুজ্জামান কোহিনূর, এমবি সাইফ, বিওএ এবং সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া মোড়ে ২০১৯ সালের এসএ গেমস স্বর্ণজয়ী তায়াকোয়ানডো খেলোয়াড় দীপু চাকমা ও কারাতেকা হুমায়ারা আক্তার অন্তরার হাতে মশাল হস্তান্তর করেন জিমি ও কলি। ফরিদপুর ভাঙ্গা মোড়ে সাবেক আরচার মো. নূর-ই-আলম ও দেশসেরা নারী আরচার দিয়া সিদ্দিকী মশাল গ্রহণ করেন। মাদারীপুর পদ্মার টোল প্লাজা থেকে মাওয়া পর্যন্ত মশাল বহন করে নিয়ে আসেন জাতীয় ভলিবল দলের সাবেক অধিনায়ক সাইদ আল জাবির ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাবেক অ্যাথলেট ফৌজিয়া হুদা জুঁই। পদ্মা সেতুতে প্রথম কোনো মশাল বহনের ইতিহাস গড়লেন জাবির-জুঁই। পদ্মা সেতু পার হয়ে মাওয়ায় জাতীয় বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক মো. শামসুজ্জামান খান সোয়েব ও জাতীয় হ্যান্ডবল দলের সাবেক অধিনায়ক রোজিনা খাতুন মশাল গ্রহণ করে ঢাকার পোস্তগোলায় নিয়ে আসেন। পোস্তগোলা থেকে গ্রহণ করে বিওএ ভবনে নিয়ে আসেন সাবেক টেবিল টেনিস তারকা মোস্তফা বিল্লাহ ও জাতীয় শুটার নাফিসা তাবাস্সুম। বিওএ ভবনে মশাল গ্রহণ করেন মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও নজিব আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ একে সরকার, বিওএ মহাপরিচালক ব্রিগে. জেনা. (অব) এম সামছ এ খান (মাহাম্মদ সামছুল আলম খান)সহ অন্যরা। বিওএ ভবন থেকে শুটার আবদুল্লাহ বাকী ও কাবাডি খেলোয়াড় রুপালি আক্তার আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতির সামনে নিয়ে আসেন মশাল। আবাহনী ক্লাব থেকে সেনানিবাস পর্যন্ত মশাল বহন করেন জাতীয় জিমন্যাস্ট আবু সাঈদ রাফি ও জাতীয় দাবা খেলোয়াড় তনিমা পারভিন। চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী দিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাইকিলিস্ট ফারহানা সুলতানা শিলা ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক জাতীয় সাঁতারু সেলিম মিয়া মশাল আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেমসের মশাল প্রজ্বলন করবেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান ও ২০১৯ সালের এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী কারাতেকা মারজান আক্তার প্রিয়া।