ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাথা নিচু শিষ্যদের প্রতি ক্ষোভ

মাথা নিচু শিষ্যদের প্রতি ক্ষোভ

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই পেপ গার্দিওলাকে দেখা গেল দলের কাছে যেতে। ফুটবলারদের সবাইকে একত্র করে কিছু বললেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ। দলকে গোল হয়ে দাঁড় করিয়ে কথা বলার এমন দৃশ্য সাধারণত দেখা যায় ম্যাচের আগে বা কোনো বিরতির পর খেলা শুরুর আগে। এবার কেন ম্যাচ শেষে করতে হলো, গুয়ার্দিওলা সেটি জানালেন পরে, ‘আমি ছেলেদেরকে বলছিলাম, তোমরা এভাবে নুইয়ে পড়েছো কেন? মাথা উঁচু রাখো, ভালো খেলা হয়েছে।’ ফুটবলারদের মাথা নত হওয়ার কারণ ছিল বটে। ফেভারিট হয়েই তারা খেলতে গিয়েছিল লাইপজিগের মাঠে। কিন্তু জয় ধরা দেয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচ ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। আগামী ১৫ মার্চ দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। সেদিনই জানা যাবে কারা পাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।

প্রথমার্ধে যদিও ফেভারিটের মতোই খেলেছে সিটি। তাদের দাপুটে ফুটবলের সামনে লাইপজিগকে মনে হচ্ছিল অসহায়। তবে রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলা লাইপজিগের কৃতিত্ব, একটির বেশি গোল হজম করেনি তারা এই অর্ধে। ২৭ মিনিটে গোলটি করেন রিয়াদ মাহরেজ। পরের অর্ধে দেখা যায় পুরো ভিন্ন চিত্র। কৌশল বদলে বেশ আগ্রাসী ফুটবল খেলতে থাকে লাইপজিগ। সিটির রক্ষণের ফাঁকগুলোও তাতে প্রকাশ্য হতে থাকে। কয়েক দফায় গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও পারছিল না লাইপজিগ। ৭০ মিনিটে তারা সফল হয়। দারুণ হেডে গোল করেন ইয়োশকো ভার্দিওল। পরে আবার একটু জেগে ওঠে সিটি। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি তারা। এই মৌসুমে যোগ দিয়ে দলের গোলমেশিন হয়ে ওঠা আর্লিং হলান্ড গোটা ম্যাচে ছিলেন একদমই মিইয়ে।

সব মিলিয়ে ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময় বল ছিল সিটির দখলে। আক্রমণও করেছে প্রতিপক্ষের প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু ম্যাচ জিততে পারেনি তারকায় ঠাসা দলটি। কোচের তবু দাবি, এই ফলাফলে তিনি অখুশি নন, ‘সব মিলিয়ে বললে, আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। আগে থেকেই আমার মনে হচ্ছিল, এই লড়াইয়ের ফয়সালা হবে দ্বিতীয় লেগে। লাইপজিগের প্রতি সম্মানে কমতি নেই আমার। আশা করি, তিন সপ্তাহ পর খুব ভালো অবস্থায় থেকে আমরা ম্যাচে নামতে পারব। অবশ্যই এর চেয়ে ভালো করতে পারি আমরা। কিছু জায়গায় আমাদের আরও মানিয়ে নিতে হবে ও শানিত করতে হবে এবং পরের ধাপে যাওয়ার পথ বের করতে হবে।’

লাইপজিগের কোচ মার্কো হোসে বললেন, হতাশার প্রথমার্ধের পর কৌশল পরিবর্তন করেই তারা খেলা বদলে দিতে পেরেছেন, ‘দুই অর্ধ ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। প্রথমার্ধে আমরা একটু বেশিই রক্ষণাত্মক ছিলাম এবং তাদের পিছু ছুটেই সময় পেরিয়ে গেছে। দ্বিতীয়ার্ধ ছিল আলাদা, যেভাবে আমরা ভেবেছিলাম, সেই হয়েছে এবং আমরা তাদের চাপে রেখেছি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত