আবাহনীর গোল উৎসবের দিনে জিতেছে মোহামেডানও

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে এবারের মৌসুমেই প্রথবার নাম লিখিয়েছে ফর্টিস ফুটবল ক্লাব। তবে প্রথম পর্বে দারুণ লড়াকু ফুটবল খেলেছে নবাগত ক্লাবটি। আবাহনী-মোহামেডানের মতো বড় নামের ক্লাবগুলোর পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয়ার পর এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পয়েন্টও কেড়ে নিয়েছে তারা। গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিজেদের হোম ম্যাচে ফর্টিস ১-১ গোলের ড্র করে জামালের সঙ্গে। একই দিনে ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আবাহনী-মোহামেডানও। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনীর কাছে ৭-০ গোলে হার মেনেছে দুর্বল আজমপুর এফসি উত্তরা। হ্যাটট্রিক করেন আবাহনীর ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও এলিটা কিংসলে। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে।

রাজশাহীতে দারুণ রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ খেলেছে ফর্টিস এফসি। ২৩ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া। পরক্ষণেই গোল করে এগিয়ে যাওয়া। একজন কম নিয়েই প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে জামালকে আটকে রাখা। নিঃসন্দেহেই দারুণ কৃতিত্ব নবাগত ফর্টিসের। ইনজুরি টাইমে একটি গোল হজম না করলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত নবাগতরা। প্রথম মিনিটেই একটি ফ্রি কিক পায় ফর্টিজ। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের ক্রসে বল পেয়ে হেড নেন সবুজ। কিন্তু বল অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ৫ মিনিটে প্রথম আক্রমণের সুযোগ পায় শেখ জামাল। বল ভেতর থেকে নদির বেগের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৯ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় ফর্টিস। ফর্টিসের একটি ফ্রি কিকে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে জামালের প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার জর্জ আগুইলার মিরান্ডাকে ঘুষি মেরে বসেন আফগান স্ট্রাইকার আমীরুদ্দিন শরীফি। রেফারি লাল কার্ড দেখান শরীফিকে। বেশ কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে ম্যাচ শুরু হয়। ডান প্রান্ত থেকে লম্বা শাহীন আহমেদের লম্বা থ্রু থেকে বল জালে ঢুকে যায়। পোস্টের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সবুজ মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বল তার শরীর বা মাথায় স্পর্শ্ব করেছিল কি না সেটি নিয়ে সন্দেহ থাকায় রেফারি ভুবন মোহন তরফদার গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। ফর্টিসের ফুটবলাররা সিদ্ধান্ত না মেনে নিলে সহকারী রেফারির সহায়তায় পর্যবেক্ষণ করে শেষ পর্যন্ত গোলের সিদ্ধান্তই দেন রেফারি। দশজনের দল নিয়েও এগিয়ে যায় ফর্টিস (১-০)। ৩৩ মিনিটে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের জোড়ালো শট আটকে দেন ফর্টিসের গোলরক্ষক মিতুল। ফিরতি বলে আবারও কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের ক্রসে হেড করেন সুলেমান সিল্লাহ। তবে এবারও হাত ছুঁইয়ে দেন মিতুল। বল বারে লেগে বাইরে চলে যাওয়াতে সমতায় ফেরার সুযোগ হাতছাড়া হয় জামালের। ৫৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে বল পেয়ে হেড নেন সুলেমান সিল্লাহ। তবে এবারও ভাঙ্গতে পারেননি ফর্টিসের রক্ষণ। অবশেষে (৯০+১) কর্নেলিয়াসের কর্ণার কিক প্রথমে হেড নেন নাদির বেগ। গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন শাহীন। ফিরতি বলে আবারও হেড করেন নাদির। এবার আর বল ক্লিয়ার করতে পারেনি ফর্টিস। বল চলে যায় জালে (১-১)। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই কোনমতে শেষ রক্ষা হয় জামালের।

ময়মনসিংহে ঢাকা আবাহনী ৭-০ গোলের বিশাল জয় পায় আজমপুরের বিপক্ষে। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে লিড নেয় আবাহনী (১-০)। ৫৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এলিটা কিংসলে (২-০)। ৫৭ মিনিটে এলিটার যোগান দেয়া বলে নিজের গোলের জোড়া পূর্ণ করেন ফাহিম (৩-০)। ৬১ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের পাসে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এলিটা কিংসলে (৪-০)। এটি তার এই ম্যাচে দ্বিতীয় গোল। ৬৪ মিনিটে পিটারের পাসে গোল আদায় করে নেন জীবন (৫-০)। ৭৯ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফাহিম (৬-০)। ৯০+১ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন এলিটা কিংসলেও (৭-০)। এই গোলেই উৎসব শেষ হয় আকাশী-নীলদের।

মুন্সীগঞ্জে প্রথম লেগে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলেছে মোহামেডান। রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচের ৭ মিনিটে মিডফিল্ডার শাহরিয়ার ইমনের গোলে এগিয়ে যায় সাদা-কালোরা (১-০)। সেই গোলটিই জয় এনে দেয় মোহামেডানকে।