মিডিয়া কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্ববৃহৎ আসর ‘শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস’ নিয়ে ব্যস্ততার মধে সময় পার করছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। কারণ আগামীকাল রোববার থেকে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়ে ৪ মার্চ পর্যন্ত। তাই বিওএ’র কর্তা ব্যক্তিদের দম ফেলার সময় নেই। এই গেমসকে ঘিরে বিওএ একটি সাংগঠনিক কমিটি, স্টিয়ারিং কমিটি ও ১৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি উপ-কমিটি’। এই কমিটির উপরই নির্ভর করে গেমসের সাফল্য। তারাই ব্যবস্থা করে থাকে প্রচারের। কিন্তু এই কমিটি নিয়েই এখন আলোচনা। কারণ ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে বিওএ’র সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুনকে চেয়ারম্যান ও সদস্য সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীরকে সদস্য সচিব করে ৭জনকে রেখে কমিটি করা হয়েছে। অন্য ৫জন হচ্ছেন আইএসপিআর-এর পরিচলক, আরচ্যারী ফেডারেশনের সদস্য রফিকুল ইসলাম টিপু, ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও এমআই পরিদপ্তরের প্রতিনিধি। ঐ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল কমিটির কর্মকান্ড পরিচালনার সুবিধার্থে সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুমোদন স্বাপেক্ষে সর্বোচ্চ ০২ জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কিন্তু এই নিয়ম মানছে না কমিটির একজন উর্ব্ধতন কর্মকর্তা। অভিযোগে জানা গেছে, কমিটির সিদ্ধান্ত না মেনেই ঐ কর্মকর্তা নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ০৪জনকে মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। নতুন সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বাসসের স্বপন বসু এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিপোর্টার মো. মাহবুবুর রহমান। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কোন ক্ষমতা বলে নিয়মের বাইরে গিয়ে দুইজনের পরিবর্তে চারজনকে অন্তভুক্ত করা হলো। এই নিয়েই দ্বন্দ্ব কমিটিতে। মিডিয়া কমিটিতে একজন ল্যাপটপ চোরকে রাখা হয়েছে। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে ঐ সাংবাদিক মিডিয়া সেন্টার থেকে ল্যাপটপ চুরি করে ধরা পড়েছিল। তা নিয়ে দৈনিক জনকন্ঠে সংবাদ ছাপা হয়েছিল। সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই মিডিয়া কমিটিতে মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সূত্র জানায় আরেকজনকে শেখ কামাল যুব গেমসে কাজ করার জন্য রাখা হয়েছে, যে কিনা সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ধরা পড়েছে। বলা যায় মিডিয়া কমিটিতে বিতর্ক জড়িয়ে পড়েছে। জানা যায় এই কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবের মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ চলছে। তার প্রমান মিলেছে গত বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীর। এদিকে মিডিয়া কমিটিতে যারা কাজ করছে তারা যুব গেমসের জন্য হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছে। কিন্তু তারা তাদের পছন্দমত সাংবাদিকদেরই রেখেছে। ফলে অনেকেই তথ্য পাচ্ছে না বলে জানা যায়।