বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ‘বাংলাদেশ’

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

চলতি বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ মিল বাংলাদেশের। তাই বাংলাদেশ সিরিজকে ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপের পরীক্ষা হিসেবে দেখছে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। অধিনায়ক জস বাটলার জানালেন, বাংলাদেশ যেন তাদের দেয় কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। যাতে নিজেদের বাজিয়ে আসছে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন তারা। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ইংলিশ অধিনায়ক বললেন, ‘বিশ্বকাপকে ঘিরেই আমাদের পরিকল্পনা। বাংলাদেশের কন্ডিশন ভারতের কন্ডিশনের সবচেয়ে কাছাকাছি। এখানে আমরা নিজেদের পরীক্ষা নিতে উন্মুখ হয়ে আছি। বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের কঠিন কন্ডিশনেই খেলতে চাই। এখানে স্লো আর লো উইকেট প্রত্যাশা করছি। আমরা চাই দল হিসেবে এই পরীক্ষা দিতে।’

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ওয়ানডে পারফরম্যান্সের রেকর্ড জানা আছে বাটলারের। ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার মানছেন, আসন্ন সিরিজটি সহজ হবে না। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ঘরের মাঠ কিংবা বাইরের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল?এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানো একটু বেশিই কঠিন। সবশেষ ১৩ ওয়ানডে সিরিজের একটাও হারেনি বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে এমনকি গেল ডিসেম্বরে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের নিয়ে গড়া পূর্ণশক্তির ভারতকে নাকানিচুবানি খাইয়েছে। এসব খুব ভালো করে জানেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তাই বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মাটিতে কঠিন পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনেকটা অপ্রতিরোধ্য। সেই ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর আর কেউ মিরপুরের ঢেরায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে কাবু করতে পারেনি। মন্থর ও উঁচু-নিচু বাউন্সের উইকেটে ক’দিন আগে সিরিজ হেরে গেছে ভারতও। ইংল্যান্ডের জন্য কাজটা তাই কঠিনই হওয়ার কথা। যদিও ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথম ম্যাচ জেতার অবস্থা থেকে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ায়। চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে গিয়ে আর লড়াই জমাতে পারেনি। এরপর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সাত বছর পর এবার আবার সামনে ইংল্যান্ড। নিশ্চিতভাবেই প্রথমবার ইংলিশদের সিরিজে হারানোর স্বাদ নিতে চাইবেন তামিম ইকবালরা।

প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বুঝে উইকেটে থাকবে স্পিনারদের জন্য অনেক রসদ। বাংলাদেশে এসে এমনটাই যেন আশা করে বসে আছেন বাটলার। রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, বিশ্বকাপ মাথায় রেখে তারা পড়তে চান কঠিন পরীক্ষায়, ‘হ্যাঁ, এটা আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন। বিশ্বকাপের আগে ঠিক এরকম চ্যালেঞ্জই আমরা আশা করছি, নিজেদের এখনই কঠিন পরীক্ষায় ফেলার মতো এটাই ঠিক সময়।’ ‘মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট আশা করছি, আমাদের জন্য কঠিন কন্ডিশন থাকবে। যেটা আমরা সত্যিই চাইছি। আমরা দল হিসেবে নিজেদের বাজিয়ে দেখতে এরকম কঠিন কন্ডিশনই চাইছে। এখানকার কন্ডিশন ভারতের (বিশ্বকাপে) কাছাকাছি হবে। কাজেই এটা আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের হবে কাজেই আমরা এই সিরিজ নিয়ে রোমাঞ্চিত আছি।’ অনেক বড় দল যেখানে বাংলাদেশে এসে খাবি খেয়ে গেছে, ইংল্যান্ড সেখানে পা হড়কায়নি। তবু ২০১৬ সালের সুখস্মৃতি টেনে নিজেদের এগিয়ে রাখার ইচ্ছা নেই বাটলারের, ‘এটা অনেকদিন আগের কথা। আপনি যেটা বললেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান খুব ভালো। আমাদের দলেও খুব ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে রোমাঞ্চিত আছি। গত কয়েক বছরে উপমহাদেশে আমাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিজেদের মেলে ধরেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও অনেকে খেলেছে। কতটা কঠিন হতে পারে তাদের কিছু ধারণা আছে।

বাংলাদেশে এসে অনুশীলন জোফরা আর্চারও বনে গেছেন স্পিনার! পেস বোলিং অনুশীলন সেরে লেগ স্পিন, বাঁহাতি স্পিনে নজর কাড়ছেন তিনি। আর্চার নিশ্চিতভাবে মজা করেই এসব করছেন। তবে মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের দাপট থাকাটা ইংল্যান্ডের জন্য খুব একটা মজার বিষয় হওয়ার কথা না। যদিও অধিনায়ক জস বাটলার জানান, বাংলাদেশ যেন তাদের দেয় কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। যাতে নিজেদের বাজিয়ে আসছে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন তারা।