ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চলে গেলেন সেই ফন্তেইন

চলে গেলেন সেই ফন্তেইন

এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল ফ্রান্সের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার জাস্ট ফন্তেইন। তার পরিবারের সূত্র ধরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ফন্তেইনের কথা উঠলেই আসে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের কথা। সেই বিশ্বকাপে আক্রমণভাগের এই সাবেক তারকা ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে করেছিলেন ১৩ গোল। ফুটবলের ইতিহাসে আজও যা এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ক্যারিয়ারে আর কখনো বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি তিনি, এক বিশ্বকাপেই নিজেকে অমর করে রেখেছেন। সুইডেনে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ফরাসিদের সেমিফাইনালে ওঠার পথে দারুণ অবদান ছিল ফন্তেইনের। ওই আসরে ফ্রান্স হয়েছিল তৃতীয়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে হয়ে খেললেও মাত্র ২১টি ম্যাচে খেলেছিলেন ফন্তেইন। সেখানে ৩০টি গোল করেছিলেন তিনি, এই পরিসংখ্যানই দেখাচ্ছে গোলমুখে কতটা ধারাল ছিলেন। মূলত একের পর এক চোটের কারণে ফুটবল ক্যারিয়ার থেমে যায় মাত্র ২৮ বছর বয়সে। বিশ্বকাপ জিততে না পারা কিংবদন্তিদের তালিকায় থাকা ফন্তেইন ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনটি দলের হয়ে ২৮৩ ম্যাচে গোল করেন ২৫৯টি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় রয়েছে ১০টি গোল। ইউএসএম ক্যাসাব্লাঙ্কার হয়ে ৪৮ ম্যাচে করেছিলেন ৬২টি গোল। নিসের হয়ে ৪২টি গোল করেছিলেন ৬৯টি ম্যাচে। ১৯৫৬ সালে রঁসে যোগ দেন ফন্তেইন। ক্লাব ফুটবলে তিনি সোনালী সময় কাটান এখানে। দলটির হয়ে ১৫২ ম্যাচে ১৪৫ গোল করেছিলেন তিনি। ফরাসি ক্লাবটির ১৯৫৯ সালের ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ওঠার নেপথ্যের নায়কদের একজন তিনি। ফন্তেইনের হাত ধরে ফরাসি ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় (বর্তমানে লিগ ওয়ান) তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয় রাঁস। ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-০ গোলে রাঁস হারলেও সেবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ফন্তেইন (১০টি)। ক্লাবটি তাদের টুইটারে গ্রেট ফঁতেনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, ‘ফরাসি ফুটবলের এক তারা, একজন দুর্দান্ত স্ট্রাইকার, রাঁসের কিংবদন্তি খেলোয়াড়, তার পরিবার, আন্তরিকভাবে রাঁস তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।’ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছে লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজিও। ১৯৭৩-৭৬ সময়কালে পিএসজির কোচের দায়িত্বে ছিলেন ফন্তেইন। তার হাত ধরেই ১৯৭৪ সালে প্রথম বিভাগে উঠেছিল দলটি। ২০০৪ সালে ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে তার ১২৫ জন গ্রেটেস্ট ফুটবলারের তালিকায় রেখেছিলেন ফন্তেইনকে। ফুটবলকে বিদায় জানানোর কোচিংয়ে মনোযোগী হয়েছিলেন ফন্তেইন। জাতীয় দলের কোচও হয়েছিলেন ১৯৬৭ সালে। এরপর লুসেঁতে দুই বছর কোচিং করানোর পর পিএসজির দায়িত্ব সামলেছেন তিন ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। তালাউস ও মরক্কোর কোচও ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত