ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিরপুরের ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

মিরপুরের ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

ক্রিকেটের অন্যতম ব্যস্ততম মাঠ মিরপুর শেরেবাংলা। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করা এই মাঠের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট, প্রীতি ম্যাচ, নানা উৎসবে কনসার্ট আয়োজনে বারবার মিরপুর শেরেবাংলা যেন প্রধান ভরসা। মিরপুরের এই সবুজ গালিচা গতকাল শুক্রবার অন্যরকম এক মাইলফলক ছুঁয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হলো শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল মিরপুরে খেলছে শততম ওয়ানডে ম্যাচ। এক ম্যাচে দুই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ ক্রিকেটের পয়মন্ত এ ভেন্যু। সঙ্গে রয়েছে আরো মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট-ফুটবলের লম্বা সময়ের স্নায়ু যুদ্ধের পর শেরেবাংলায় স্থায়ী হয় ক্রিকেট। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে শেরেবাংলায় চলে আসে ক্রিকেট। ফুটবল স্থায়ী হয় বঙ্গবন্ধুতে। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দিয়ে শেরেবাংলায় যাত্রা শুরু করে ক্রিকেট। সেই থেকে মিরপুরের এই মাঠ দেশের মূল ক্রিকেট ভেন্যু।

ক্রিকেট খেলায় ১০০, ২০০, ৩০০ এমনকি ৪০০ সংখ্যাগুলো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তা যেমন ব্যক্তিগতভাবে, তেমনি বস্তুগতভাবেও। ১০০ একজন ব্যাটসম্যানের আরাধ্য সেঞ্চুরি। বোলারের জন্য বহুল কাঙ্খিত মাইলফলক। তেমনি একটি ভেন্যুর জন্যও বিশেষ মাইলফলক। এটি একেক সময় একেকজন স্পর্শ করে থাকেন। কিন্তু কাকতলীয়ভাবে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে টস হওয়ার পরপরই একসঙ্গে কয়েকটি মাইলফলক হয়ে গেছে। গতকাল মিরপুরে বাংলাদেশ খেলেছে ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আবার একই ভেন্যুতে এটি হয়েছে বাংলাদেশের শুধু ১০০তম একদিনের ম্যাচ। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান খেলতে নেমেছেন তার ৪০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

গতকাল শুক্রবারের ম্যাচে ছিল আরেকটি মাইলফলকও। যেটি আবার বিশ্ব ক্রিকেটেও প্রথম। মুশফিকুর রহিম প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গতকাল একই ভেন্যুতে খেলেছেন ১৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। মিরপুরের অভিষেক ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব ও মুশফিক। এই দুই জন গতকাল খেলছেন ২০০তম ম্যাচও। এতো সব মাইলফলকের ম্যাচের স্বার্থকতা হয়ে উঠবে ম্যাচটি যদি জিততে পারে বাংলাদেশ। ম্যাজ জিততে পারলে বাংলাদেরে সিরিজেও ফেরা হবে।

রাজধানী ঢাকাতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভেন্যু বলতে ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই মাঠেই বাংলাদেশ খেলেছে তাদের অভিষেক টেস্ট। সময়ের পরিক্রমায় পরে ক্রিকেট চলে যায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৮ উইকেটে। গতকাল ষষ্ঠ ভেন্যু হিসেবে মিরপুরে বাংলাদেশ খেলেছে তাদের শততম ওয়ানডে ম্যাচ।

এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার রেকর্ড জিম্বাবুয়ের। তারা হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৪৯টি ম্যাচ। এরপর ১৩৫ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। তিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানে পাকিস্তান ম্যাচ খেলেছে ১২৬টি।

এক ভেন্যুতে শততম ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে মিরপুর ও বাংলাদেশ ষষ্ঠ স্থানে আছে। আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দিক দিয়েও মিরপুর আছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের উপরে আছে সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়াম (ম্যাচ ২৮৯টি), মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়াম (ম্যাচ ২৮৪টি), শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম (ম্যাচ ২৮২টি), হারারে স্পোর্টস ক্লাব (ম্যাচ ২৪৩টি), লর্ডস (ম্যাচ ২২১টি)। এরপর গতকাল সেখানে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের নাম। মিরপুরে ২০০ ম্যাচের মাঝে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ওয়ানডে ম্যাচ ১১৬টি। এরপর টি-টোয়েন্টি হয়েছে ৫৯টি। টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ২৪টি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত