২২ বছর পর সৌদিতে ফুটবলাররা

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ফিফার মার্চ উইন্ডোতে ২২ থেকে ২৮ তারিখ ব্রুনাই ও সেশেলসকে নিয়ে সিলেটে তিনজাতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রস্তুতির জন্য সৌদি আরবের মদিনায় যাচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ২৭ খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ১২ খেলোয়াড়ের ১১ জন গেল রাতে ১টায় উঠছেন সৌদি আরবগামী বিমানে। তাদের সাথে গেছেন প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও ফিটনেস কোচ ও ইভান রাজলক। কিংসের আরেক খেলোয়াড় তারিক কাজী ফিনল্যান্ড থেকে সরাসরি যাবেন দাম্মাম। শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও পুলিশের ফরোয়ার্ড রবিউল ইসলাম যাবেন তাদের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হলে। বাকি খেলোয়াড়েরা যাবেন আজ রাত ১টার ফ্লাইটে। সম্প্রতি সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাফুফে। সেটারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে এই আতিথ্য দেবে সৌদি ফেডারেশন। সফরে থাকাণ্ডখাওয়া ও স্থানীয় পরিবহণ-সুবিধা দেবে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন। তাদের কাছে দুটি অনুশীলন ম্যাচও চেয়েছে বাংলাদেশ। সৌদি আরবে অনুশীলন শেষে ১৭ মার্চ দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। ফিরেই সিলেটে যাবে। বাংলাদেশ ফুটবল দল সবশেষ সৌদি আরব গিয়েছিল ২০০২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে ২০০১ সালে।

মদিনার প্রিন্স সুলতান বিন আবদুল আজিজ স্পোর্টস সিটিতে অনুশীলন চলবে। ১৬ মার্চ পর্যন্ত ১০-১১টি অনুশীলন সেশন পাবে বাংলাদেশ দল। আর এই অনুশীলন সেশনগুলো ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ছাপিয়ে আগামী জুনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিতেও কাজে লাগবে বিশ্বাস কোচ কাবরেরার, বলেছেন, ‘সৌদি আরবের অনুশীলন-সুবিধা কেমন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের লক্ষ্য হলো, মদিনায় নিরবচ্ছিন্নভাবে অনুশীলন করা। আশা করি, এই প্রস্তুতি সাফেও কাজে লাগবে।’

সিলেটে খেলা হলেও বিদেশে ক্যাম্প করার পক্ষে টিম ম্যানেজমেন্টের যুক্তি, দেশে অনেক সময় অনুশীলনের পুরো মনোযোগ রাখতে পারেন না ফুটবলারদের। পরিবার বা বন্ধুবান্ধবকে সময় দিতে হয়। কিন্তু বিদেশে অনুশীলনের প্রতি মনোযোগ থাকে শতভাগ।

এর আগে বিভিন্ন সময় জাতীয় দল বিদেশে অনুশীলন ক্যাম্পে করেছে। জেমি ডের সময় কাতারের একাধিকবার ক্যাম্প হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডে হয়েছে। ১৯৯৫ সালে অটো ফিস্টারের সময় মালয়েশিয়ায় ক্যাম্প হয়েছে এক মাস। তবে সৌদি আরবে এই প্রথম ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ দল।

এ সফরে বাংলাদেশ কোচের বড় লক্ষ্য স্ট্রাইকারদের তৈরি করা। কদিন আগেও যাকে একাদশে মূল স্ট্রাইকার রাখা হয়েছিল, সেই মোহামেডানের স্ট্রাইকার সাজ্জাদ হোসেন দল থেকে বাদ পড়েছেন। চোট ও অন্যান্য কারণে সাজ্জাদ লিগে খেলার সুযোগ পাননি তেমন।

লিগে স্থানীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ গোল করা আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজকে দলে নেননি কোচ। শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে বাদ দেয়া হয়েছে নাবিবকে। যাদের নিয়েছেন, তাদেরও গোলখরা। মূল স্ট্রাইকার সুমন রেজা এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের ১০ ম্যাচে কোনো গোলই করতে পারেননি। ১ গোল করা মতিন মিয়া আছেন দলে।

ফর্টিস এফসির তরুণ গোলকিপার মিতুল মারমাকে নেয়া হয়েছে দলে। লিগে ভালো করার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের আশা, কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমানের পর দ্বিতীয় স্থানের জন্য আবাহনীর শহিদুলের সঙ্গে জোর টক্কর দেবেন মিতুল। কোচিং স্টাফের এক সদস্যে বলছেন, ‘বিল্ডআপের সময় পায়ে খেলা গোলকিপার খুব আমাদের দেশে। মিতুল সেই জাতের গোলকিপার যে পায়ে খেলতে পারে।’

মুক্তিযোদ্ধার তরুণ গোলকিপার শ্রাবণকে নিয়েও আশা টিম ম্যানেজমেন্টের। শ্রাবণ চেষ্টা করে গেলে ভবিষ্যতে আমিনুলের মতো গোলকিপার হতে পারবে মনে করেন ওই সদস্য। বাফুফের একাডেমি থেকে উঠে আসা ফর্টিসের মিডফিল্ডার মাহবুবুর রহমান জনিকে নিয়েও আছে বড় আশা।