যে কীর্তিতে সাকিব প্রথম

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রথমে ব্যাট হাতে দলকে এনে দিলেন সম্মানজনক পুঁজি, এরপর বল হাতে ইংলিশদের ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকেও ধবলধোলাই হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করলেন। রেহান আহমেদের ক্যাচটা মেহেদী হাসান মিরাজ তালুবন্দি করার সঙ্গে সঙ্গে সাকিব আল হাসান গড়লেন আরেক নতুন ইতিহাস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫০ রানের জয়ের ম্যাচের দিন সব আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, সাকিবের জন্য এ আর নতুন কী!

নামের পাশে ২৯৬ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আরও একবার দেখান বল হাতে ভেলকি, একে একে ফেরান ফিল সল্ট, জেসন রয়, জেমস ভিন্স ও রেহানকে, তাতে ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৪তম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট নিলেন সাকিব। স্পিনারের তালিকায় আরও এগিয়ে বাংলাদেশ প্রাণ ভোমরা, ষষ্ট বোলার। ৩৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের লেগেছে ২২৭ ম্যাচ। ইংলিশদের বিপক্ষে সম্মান বাঁচানোর ম্যাচেই সেই কীর্তি গড়লেন সাকিব। ব্যাট হাতে তার ৭১ বলে ৭৫ রানের সাথে বল হাতে ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কারও। ২২৭ ম্যাচের ২২৪ ইনিংসে বল করেছেন সাকিব, ১৯৫১.৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ৮৬৮৮ রান। মেডেন নিয়েছেন ৯৪ ওভার। ২৮.৯৬ গড়ে এসেছে সাকিবের ৩০০ উইকেট। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন ১০ বার, পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৪ বার। সেরা বোলিং ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড সাকিব নিজের করে নেন ২০২১ সালে। হারারেতে প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। টপ এজ হয়ে তাসকিনের তালুবন্দি হওয়া ব্রেন্ডন টেলর ছিলেন সাকিবের ২৭০তম শিকার। ফলে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে টপকে চূড়ায় পৌঁছে যান তিনি। ২০২০ সালে শেষ ওয়ানডে খেলা মাশরাফি ২১৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬৯ উইকেট।

এই সংস্করণে বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার সাকিব। শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা সনাথ জয়সুরিয়া ৪৪৫ ম্যাচে পেয়েছেন ৩২৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি ৩০৫ উইকেট নিয়েছেন ২৯৫ ম্যাচে।

২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। ওই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন। তার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এলটন চিগুম্বুরা। ২০১০ সালে সাকিব নেন শততম উইকেট। ডাম্বুলায় এশিয়া কাপের ম্যাচে তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে পাকিস্তানের আসাদ শফিক হয়েছিলেন স্টাম্পড।

২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাকিবের ২০০তম শিকার ছিলেন হাশিম আমলা। চট্টগ্রামেই টার্নে পরাস্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ক্যাচ দিয়েছিলেন মুশফিকের হাতে। প্রায় আট বছরের ব্যবধানে এদিন তিনশ উইকেট পূর্ণ হয়েছে সাকিবের।