সিরিজ জয়ে কোথায় পরিবর্তন

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ‘নতুন চেহারার’ বাংলাদেশ দল ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। এই জয়ে বল হাতে মেহেদি মিরাজ, তাসকিন আহমেদরা দারুণ করেছেন। নাজমুল শান্ত ব্যাট হাতে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। শেষ ম্যাচে রান করেছেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও রনি তালুকদার। তবে ব্যাটিং-বোলিংয়ের বাইরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফিল্ডিংকে মূল পরিবর্তনের জায়গা বলে উল্লেখ করেন। হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের কোচ হয়ে ফিরে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এবার তার মূল ফোকাস ফিল্ডিংয়ে। প্রথম সিরিজেই ফিল্ডিংয়ে তারুণ্যের ছোঁয়া দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা এই সিরিজে খুব ভালো খেলেছি। তবে ফিল্ডিং বিশেষভাবে ভালো হয়েছে। এটাই দলের মূল পরিবর্তনের জায়গা। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, এই জয়ের ওপর ভিত্তি করে আমরা দল গড়তে পারব। কঠিন উইকেটে আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি।’ মুস্তাফিজ ওয়ানডে সিরিজে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালোই করেছিলেন, তবে শেষ ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তিনি ব্রেক থ্রু দেয়া উইকেট নিয়েছেন। ভালো ব্যাটিং করেছেন লিটন-শান্তরা। অধিনায়ক সাকিব বলেছেন, ‘লিটন ও রনি ভালো শুরু দিয়েছে। শান্ত শেষ করেছে। তারাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। মুস্তাফিজ বল হাতে অসাধারণ করেছে।’

১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। ক্রিজে ছিলেন দুই থিতু হওয়া ব্যাটার ডাভিড মালান ও জস বাটলার। তাদের জয়ের কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া শুরু হয় পরের ওভারেই। মোস্তাফিজুর রহমান মালানকে লিটন দাসের ক্যাচ বানানোর পর বাটলার হন মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোতে রানআউট। সেসময়ই ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ মোমেন্টাম পেয়ে যায় বলে মনে করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ ৭ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৫৯ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। ফলে জয়ের পাল্লা তখন ভারি তাদের দিকে। তবে ১৪তম ওভারে আক্রমণে ফিরে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। ফিফটি করা মালানকে শিকার করে দেশের দ্বিতীয় বোলার ও প্রথম পেসার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের শততম উইকেট পূরণ করেন তিনি। সঙ্গী হারিয়ে টেকেননি ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারও। ঠিক পরের বলেই রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। দ্রুত দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে সফরকারীদের ভিত নড়ে যায়। পরে মোস্তাফিজের সঙ্গে তাসকিন আহমেদ ও সাকিব নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যোগ দিলে লক্ষ্য থেকে বেশ দূরে থামে ইংল্যান্ড।

স্মরণীয় সিরিজ জয়ের পর চার ওভারে ১৪ রানে ১ উইকেট শিকার করা মোস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব, ‘ওই (১৪তম) ওভারে দুই সেট ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ পুরোপুরি বদলে গেছে। সেখান থেকে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই এবং তাদের (ইংল্যান্ড) চাপে রাখতে থাকি। আমি মনে করি, মোস্তাফিজ চমৎকার ছিল আজকে। চার ওভারে সে মাত্র ১৪ রান দিয়েছে। অবিশ্বাস্য ভূমিকা রেখেছে সে।’

আগামী ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে যে সাফল্যের দিশা মিলেছে, সেই ধারাবাহিকতা নিয়ে বিশ্ব আসরে যেতে চান তারকা অলরাউন্ডার সাকিব, ‘সব বোলারই ভালো বল করেছে। তারা সব সময়ই ভালো করেছে। ব্যাটাররাও তাদের ভূমিকা রেখেছে। আগামী বছরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সব মিলিয়ে ভালো শুরু হয়েছে। এখান থেকে আমরা ভালমতো এগিয়ে যেতে পারি।’