অবশেষে মুস্তাফিজের ‘সেঞ্চুরি’

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

গত বছরের জুলাইয়ে নব্বইয়ের ঘরে পা রাখেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেখান থেকে তিন অঙ্কে ঢোকার পথটা যেন শেষই হচ্ছিল না বাঁ-হাতি পেসারের। মাঝে কেটে গেছে প্রায় ৮ মাস, খেলেছেন ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অবশেষে পেলেন কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকের স্বাদ। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাভিদ মালানকে কট বিহাইন্ড করে এই সংস্করণে নিজের শততম উইকেট নিলেন মুস্তাফিজ। সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন ২৭ বছর বয়সি পেসার। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের ৮ বছরের মাথায় ৮১ ম্যাচ খেলে এই ক্লাবে নাম লেখালেন মুস্তাফিজ। ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩বার, ৫ উইকেট ১বার। ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট সেরা বোলিং। এই সংস্করণের একশ উইকেট পেতে মুস্তাফিজের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে সাকিব ও টিম সাউদিকে। দুজনই খেলেন ৮৪টি করে ম্যাচ। সবচেয়ে কম ৫৩ ম্যাচে ১০০ উইকেট নেন রশিদ খান। এছাড়া লাসিথ মালিঙ্গা ৭৬ ও ইশ সোধির লাগে ৭৮টি ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৪ উইকেট নিয়েছেন সাউদি। চলতি ম্যাচের আগে সাকিবের শিকার ১৩০ উইকেট। এই তালিকার পরের তিনজন রশিদ (১২৬), সোধি (১১৪) ও মালিঙ্গা (১০৭)। শুরুর দিকে মুস্তাফিজের কাটার ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য গোলকধাঁধার নাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে কাটার-স্লোয়ারের জাদুতে প্রতিপক্ষের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। সেদিন ২০ রান খরচায় ফেরান শাহিদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজকে। ক্যারিয়ারে প্রথম ৫০ উইকেট পেতে তার লেগেছিল স্রেফ ৩৩ ম্যাচ। এরপর কাঁধের চোটে কাটারের ব্যবহার কমাতে বাধ্য হন বাঁ-হাতি পেসার। পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং নিয়ে কাঁটাছেড়াও হয় বিস্তর। যার ফলে কমতে থাকে মুস্তাফিজের কার্যকরিতা। সাম্প্রতিক সময়ে উইকেটের জন্য হাপিত্যেশ করাও এরই প্রমাণ। পরের ৫০ উইকেট পেতে তার লাগল ৪৮ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দশের বেশি ইনিংস বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন মুস্তাফিজ। তার সবচেয়ে বেশি ২৪ উইকেটও এই দলের বিপক্ষে। এছাড়া দশের বেশি উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯ ইনিংসে ১৫), নিউ জিল্যান্ড (৮ ইনিংসে ১৪) ও শ্রীলঙ্কার (৯ ইনিংসে ১২) বিপক্ষে।