ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাকিবকে সরিয়ে শীর্ষে মুশফিক

সাকিবকে সরিয়ে শীর্ষে মুশফিক

ইনিংসের শেষ বল। সেঞ্চুরি থেকে মুশফিকুর রহিম মাত্র ১ রান দূরে। আয়ারল্যান্ডের পেসার গ্রাহাম হিউমের বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে প্রান্ত বদল মুশফিকের, তাতেই ইতিহাস। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হয়ে গেল মুশফিকের। ৬০ বলে মুশফিক পৌঁছেছেন মাইলফলকে। আইরিশ বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে মুশফিক এরকম ছেলেখেলা করলেন ইনিংসজুড়েই। তার ব্যাট থেকে বল ছুটতে থাকল আর উড়ে বেড়াতে লাগল উইকেটের সামনে-পেছনে, মাঠের নানা প্রান্তে। চোখধাঁধানো সব শটের জোয়ারে তার রানের স্রোত সেঞ্চুরির মোহনায় মিশে গেল এতটা দ্রুততায়, যা পারেননি বাংলাদেশের আর কেউ। প্রায় ১৪ বছর ধরে যে রেকর্ড সঙ্গী ছিল সাকিব আল হাসানের, সেটি এখন মুশফিকের। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান এখন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটে গতকাল স্রেফ ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেললেন মুশফিক। অতীত হয়ে গেল সাকিবের ৬৩ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড।

তার গোটা ইনিংস ছিল যেমন বিনোদনদায়ী, রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির মুহূর্তটিও হলো তেমনি নাটকীয়। শেষ ওভার শুরুর সময় শতরান থেকে তার দূরত্ব ছিল ৯ রানের। কিন্তু হিউমের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তাসকিন। মুশফিকের সামনে লক্ষ্য ৪ বলে ৯ রানের। ফ্লিক করে দুটি রান নেন তিনি, পরের বলে রিভার্স স্কুপে থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারি। পঞ্চম বলে ২ নিয়ে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দুয়ারে। শেষ বলে ফ্লিক করে মিড উইকেটে ঠেলে পৌঁছে যান কাঙ্খিত ঠিকানায়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার আগের ৮ সেঞ্চুরির সবকটিই ছিল ৪ নম্বরে। ৬ নম্বরে প্রথম সেঞ্চুরিতেই গড়লেন ইতিহাস। ১৬ ইনিংস পর আবার স্বাদ পান ওয়ানডে সেঞ্চুরির। সবশেষটি ছিল ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে। ওয়ানডেতে ৬ নম্বরে নেমে বাংলাদেশের পঞ্চম সেঞ্চুরি এটি। এর আগে করেছেন অলক কাপালী, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ।

মুশফিকের নিজের ক্যারিয়ার যেমন আরও সমৃদ্ধ হলো এই ইনিংসে, তেমনি দলের জন্যও দারুণ সুখবর এই দুই ম্যাচে তার ব্যাটিং। চার-পাঁচে তো তিনি ভালোভাবেই সামলাতে পারেন, ছয় নম্বরের জন্যও নিজের উপযোগিতা জানিয়ে রাখলেন। বিশ্বকাপ বেশি দূরে নেই, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই দারুণ সুখবর মুশফিকের এমন রূপ!

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড পাওয়ার দিনে মুশফিক ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে গেছেন। ৫৫ রান দূরে থাকতে মাঠে নেমেছিলেন। ২৪৪ ইনিংসে তার রান এখন ৭০৪৫। তামিম ও সাকিবের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অনন্য এ রেকর্ডবুকে নিজের নাম তোলেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৯৪৫ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মুশফিক। ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে কুরটিস কাম্পারকে মিড অফ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে ৩৫ বলে ৭ হাজার রান পেরিয়ে যান বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। ২২৯ ইনিংসে মুশফিক ৭ হাজার রান পেয়েছেন। তামিম ৭ হাজার রান করেছিলেন ২০৪ ইনিংসে। সাকিবের লেগেছিল ২১৬ ইনিংস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত