ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘শিরোপার দৌড় শেষ রিয়ালের’

বার্সেলোনা ২:১ রিয়াল মাদ্রিদ
‘শিরোপার দৌড় শেষ রিয়ালের’

এল ক্লাসিকো জিতে সুযোগ ছিল লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকার। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। গত রোববার দিবাগত রাতে বার্সেলোনার কাছে তারা আবারও হেরে গেছে ২-১ ব্যবধানে। এই হারে বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ১২! লিগে ম্যাচ বাকি আর ১২টি। এই ১২ ম্যাচে বার্সেলোনার যদি অবিশ্বাস্য খারাপ না খেলে তাহলে রিয়ালের জন্য কোনোভাবেই আর সুযোগ নেই লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার। বিষয়টি স্বীকার করেছেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই বাস্তবতার নিরিখে চিন্তা করতে হবে। আমরা আসলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন বার্সেলোনার সঙ্গে পার্থক্য বেড়ে হয়ে গেছে চার ম্যাচ (১২ পয়েন্ট)। তারা ৪ ম্যাচে হারলেই কেবল আমাদের পক্ষে লড়াইয়ে ফেরা সম্ভব। তার পাশাপাশি আমাদের সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে। হয়তো কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, কিন্তু সত্যি কথা বলতে খুবই কঠিন কাজ।’

২৬ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার সংগ্রহ ৬৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান ম্যাচ থেকে রিয়ালের সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। রিয়াল মাদ্রিদ অবশ্য এখন লা লিগার চিন্তা বাদ দিয়ে কোপা ডেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে ভাববে। কোপা ডেল রের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ৫ এপ্রিল বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে তারা। প্রথম লেগে রিয়াল ঘরের মাঠে হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী মাসে চেলসির মুখোমুখি হবে তারা।

রিয়ালের ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে এক সময় মনে হচ্ছিল সেদিকেই এগুচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু ভিএআরের দেওয়া অফসাইডে তাদের জয়সূচক গোলটি বাতিল হওয়ার পর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে ফ্র্যাঙ্ক কেসির গোলে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় বার্সেলোনাই। তিন সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো রিয়ালকে হারানো বুস্কেটসদের জন্য এই জয়ের গুরুত্ব যেকোনো সাধারণ এল ক্লাসিকোর চেয়ে বেশি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মৌসুমের শেষে হয়তো কেসির গোলকেই বার্সার শিরোপা-নির্ধারণী মুহূর্ত হিসেবে দেখা হবে।

ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালোভাবে হয়নি বার্সার। লিগের সবচেয়ে সফল রক্ষণ দশ মিনিটের মধ্যে পরাস্ত হয়, দলের সবচেয়ে দক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে। নবম মিনিটে বক্সে বল নিয়ে কারিগরি করতে থাকা ভিনিসিয়াসকে বার্সার পুরো রক্ষণ ঘিরে ধরলেও বাইলাইনের কাছে এসে যখন ক্রস করেন ভিনি, আরাউহোর তার গায়ে ডিফ্লেক্টেড হয়ে টার স্টেগানকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায় বল।

গোল খাওয়ার পর আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া বার্সা পুরো প্রথমার্ধ চেষ্টা করে সমতা ফেরায় শেষ মিনিটে। আরাউহোর ক্রস রিয়ালের দুই জনের পায়ে ডিফ্লেক্টেড হয়ে বক্সে ডি ইয়ংয়ের কাছে পৌঁছে। তার কাটব্যাক থেকে রাফিনহা শট করলে সেটিও ব্লক করে রিয়াল, ফিরতি বলে নেওয়া সার্জি রবার্তোর শট কর্তোয়াকে পরাস্ত করে।

দ্বিতীয়ার্ধের বড় সময় বার্সা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করলেও ৭৬ মিনিটে সুয়ামেনি, সেবায়োস, আসেন্সিওকে বদলি করে ম্যাচে গতিবিধি ঘুরিয়ে দেন কার্লো আনচেলত্তি। প্রায় সাথে সাথেই গোল করে বসেন বদলি নামা আসেন্সিও। কিন্তু ভিএআর চেকে বাতিল হয় রিয়ালের জয়সূচক গোল।

গোলের পরও আক্রমণে ছিল রিয়ালই। কাউন্টার-অ্যাটাকে দক্ষ বার্সা কিছু ভয়ঙ্কর কাউন্টারে রিয়ালের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত