ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্র্যান্ডের ক্রিকেটে মনোযোগ

ব্র্যান্ডের ক্রিকেটে মনোযোগ

সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে হলে নিজেদের সীমানা ভাঙতেই হবে। গড়তে হবে নতুন করে। সামর্থ্যরে সবটুকু উজাড় করে দিয়ে পথ চলতে হবে। তবেই না হওয়া যাবে বিশ্বমানের দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন সেই পথেই আছে। মাঝারি মানের দল থেকে শক্তিশালী দল হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় ছুটছে বাংলাদেশ।

একটা সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার লড়াইয়ে ছিল বাংলাদেশ, মাঠে নামত কেবল অংশগ্রহণের জন্য। সেটা পেরিয়ে আস্তে আস্তে লড়াই শুরু করল। সেই লড়াইয়ে একদিন চলে আসে বহু কাঙ্ক্ষিত জয়। সেই জয় পাওয়ার পর দলগুলোকে জবাব দিতে শুরু করে বাংলাদেশ। এখন শুধু জবাব, জয়ই সন্তুষ্ট হয়। পরাশক্তি হয়ে উঠার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। এজন্য নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। বড় দলগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় রান করছে। সেই রান তাড়া করে জিতছে আরেক দল। লিটন, সাকিব, মুশফিকরা ছুটছে সেই পথেই।

গত বছর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করেছে ১২ বার। যেখানে সর্বনিম্ন রান ১৯২, সর্বোচ্চ ৩৪৯। আগে ব্যাটিং করে পাঁচটিতে করেছে ৩০০’র বেশি রান। ২৫০ পেরিয়েছে তিনবার। ২০০ থেকে ২৫০ রানের পুঁজি পেয়েছে দুটিতে এবং ২০০’র নিচে আছে দুটিতে।

পরিসংখ্যান বলছে ৩০০’র বেশি রান করা পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে একটিতে। একটিতে ফল বের হয়নি। এছাড়া ২৫০ বেশি রান করা তিনটি ম্যাচের দুটিতেই উড়িয়েছে বিজয়ের পতাকা।

আগে ব্যাটিং করলে এখন নিয়মিতই ৩০০’র বেশি রান করার লক্ষ্য থাকে, বলতে দ্বিধা করেননি দলের ওপেনার লিটন দাস, ‘আমরা তো চাই এটা হোক। যদি আমরা রান করতে পারি, আপনি যখন বড় বড় ইভেন্ট খেলবেন তখন কিন্তু এমনই হয় রান। সব ম্যাচে ৩০০ হয় না, ২৮০ প্লাস হয়। চাইবো তো সবসময় ভালো উইকেটে খেলি, ভালো ফল করি। কিন্তু অবশ্যই আমার মনে হয় সাহায্য করবে এই জিনিস।’

৩০০’র বেশি রান করার পেছনে বড় চ্যালেঞ্জ শেষ ১০ ওভারে রান করা। যা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে শেষ ১০ ওভারে ৯৬ রান পায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আসে ১০৮ রান। দুই দিনই মুশফিকের ব্যাটে পুড়েছে প্রতিপক্ষ। প্রথম ম্যাচে তার ২৬ বলে ৪৪ ও দ্বিতীয়টিতে ৬০ বলে ১০০ রানে বাংলাদেশ নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান পায়। তাতে হাসি ফুটেছে ড্রেসিংরুমে। সামনে এই ব্র্যান্ডের ক্রিকেটই খেলতে চায় বাংলাদেশ।

সিলেটে আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দাপ দেখিয়ে রেকর্ড সংগ্রহ গড়ে তামিম ইকবালের দল, যদিও বৃষ্টির হানায় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি তাই সিরিজ নির্ধারণীতে পরিণত হয়েছে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচের জন্য গতকাল ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। দলে জায়গা হয়নি ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ধ্রুব ও বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের। আফিফ ঢাকা ফিরে গেলেও দলের সঙ্গে সিলেটেই আছেন শরিফুল, চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগ পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন। প্রথম দুই ওয়ানডের দলে থেকেও একাদশে জায়গা পাননি আফিফ-শরিফুল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি একটি ওয়ানডে, একাদশও জানা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত