ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশের ‘লাকি থার্টিন’ হাসান

বাংলাদেশের ‘লাকি থার্টিন’ হাসান

দারুণ সব ডেলিভারিতে একে একে আয়ারল্যান্ডের পাঁচটি উইকেট তুলে নিলেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করেই উদযাপন করতে দেখা গেল না হাসান মাহমুদকে। শুধু এদিনের ম্যাচই নয়, স্বাভাবিকভাবে কখনোই উদযাপন করতে দেখা যায় না তাকে। ব্যাটারদের কথা ভেবেই উদযাপন করেন না এ পেসার! অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটে ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোনো ফাইফার ছিল না হাসানের। আয়ারল্যান্ডে বিপক্ষে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন এ পেসার। তারপরও নির্লিপ্ত ছিলেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে কেবল স্বাভাবিক উদযাপনই করেছেন তিনি।

অবশ্য চারিত্রিকভাবে বেশ অন্তর্মুখী হাসান। অনেকটা নরম স্বভাবের, খুব বেশি কথা বলেন না। ম্যাচ শেষে অবশ্য এর দারুণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন হাসান, ‘বিশেষ কিছু না এমনি। ব্যাটসম্যানকে আউট করে সেলিব্রেশন করলে মনে হয় ওর আরেকটু মন খারাপ করবে, তাই সেলিব্রেট করি না।’

সিলেটে গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন হাসান। টপ অর্ডার ছাঁটাই করার পর লেজও ছাঁটাইও করেন। সবমিলিয়ে বল হাতে দুর্দান্ত একটি দিন পার করলেন এ পেসার। হাসান, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেনের গতি, সুইং আর মুভমেন্টের সামনে রীতিমতো অসহায় ছিল সফরকারী ব্যাটাররা। তাদের ধরাশায়ী করতে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ২৩ বছর বয়সি হাসান। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে তিনি ৩২ রানে নেন ৫ উইকেট। তার বোলিং তোপেই মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিয়েও খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখা গেল না হাসানের কণ্ঠে, ‘এটা আমার প্রথম পাঁচ উইকেট, ঘরোয়াতেও ৫ উইকেট পাওয়া হয়নি। আরো যারা পেস বোলার আছে বিগত কয়েক দিন ধরে অনেক পরিশ্রম করছি অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে। সবার সাথে সবার কানেকশন আছে। আমরা চেষ্টা করছি এটা আরও কিভাবে উন্নতি করা যায়।’

আট ওয়ানডের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট শিকারের স্বাদ নিলেন হাসান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের ১৩তম বোলার তিনি। যদিও ১৩ সংখ্যাটি ‘আনলাকি’ বা ‘অপয়া’ হিসেবে বিবেচিত, এক্ষেত্রে এই তরুণ পেসার তার অর্জন দিয়ে হয়ে গেলেন ১৩তম ‘সৌভাগ্যবান’ বা ‘লাকি থার্টিন’।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নবম পেসার হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হাসান। তার আগে এই নজির স্থাপন করেছেন তাসকিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, জিয়াউর রহমান, আফতাব আহমেদ ও ফরহাদ রেজা। স্পিনার হিসেবে এই সংস্করণে ৫ উইকেট রয়েছে সাকিব আল হাসান, আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ রফিকের।

আইরিশদের ১০ উইকেটের সবগুলো নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার। সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে বাংলাদেশ এমন ঘটনা ঘটাল প্রথমবার। হাসান, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেনের গতি, সুইং আর মুভমেন্টের সামনে রীতিমতো অসহায় ছিল সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। তাদের ধরাশায়ী করতে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ২৩ বছর বয়সি হাসান। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে তিনি ৩২ রানে নেন ৫ উইকেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত