ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এলিটার অপেক্ষার অবসান ঘটছে এবার

এলিটার অপেক্ষার অবসান ঘটছে এবার

নাইজেরিয়ান এলিটা কিংসলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন ২০২১ সালের ১৪ মার্চ। তখন থেকে স্বপ্ন দেখছিলেন লাল-সবুজ জার্সি গায়ে একসময় মাঠ মাতাবেন। তার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় মালদ্বীপ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগেই। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেও চূড়ান্ত পর্বের দলে জায়গা হয়নি কাগুজে জটিলতায়। স্বপ্ন ভাঙে, আবার নতুন করে গড়েও। সিলেটে সিশেলসের বিপক্ষে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচের দলে আছেন ৩৩ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত স্ট্রাইকার। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ কম। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় আবাহনি স্ট্রাইকার। আগে থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, এলিটাকে খেলানোর জন্য বাফুফে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। প্রতিপক্ষ দল যদি কোনো ওজর-আপত্তি জানায় তার জবাব দিতেও প্রস্তুত দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। নিজের খেলার পথ পরিষ্কার জেনে হয়তো কিংসলে আরও আত্মবিশ্বাসী। অনুশীলনে সর্বোচ্চটা দিয়ে মূল দলে জায়গা করে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা।

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে দীর্ঘদেহী স্ট্রাইকার বাংলাদেশ দলে খেলার অধীর আগ্রহের কথা নতুন করে জানিয়ে দিলেন, ‘আমি অধীর অপেক্ষায় আছি। বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবো। লাল সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামবো। এই দিনটির জন্যই এতদিনের সাধনা। শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী ও বাচ্চারা অপেক্ষায় আছে। অনেক রোমাঞ্চিত।’

নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ছাড়লেও নাড়ির টান ভোলেননি এলিটা। মা ও ভাই-বোনরা তার খবর রাখেন। বাংলাদেশ দলে তার অভিষেক প্রসঙ্গ নিয়ে তাদেরও আগ্রহ কম নয়। এলিটা যেমন বলেছেন, ‘নাইজেরিয়ায় আমার মা ও ভাই বোনরাও অপেক্ষায় আছে। ওরাও চায় আমি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামি। যদি খেলার সুযোগ পাই তাহলে ওরা টিভিতে খেলা দেখবে। ওদের আগ্রহ-উদ্দীপনা কেমন বলে বোঝানো যাবে না।’ গেল বছর দুয়েক আগে মালদ্বীপের সাফে খেলা হয়নি, সে সময় তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকিতে যায়নি বাফুফে। এবার জায়গায় নেই টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই কিংসলে বলেছেন, ‘এর আগে ডাক পেয়েও খেলতে পারিনি। খারাপ লেগেছিল। আমি একজন বাংলাদেশি। এই দেশের হয়ে কিছু করে দেখাতে পারলে অনেক ভালো লাগবে। এবার মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি।’ একাদশে সুযোগ পেলে নিজের কাজটি সুনিপুণভাবে করে দেখাতে চান। প্রিমিয়ার লিগে ৭ গোলের অধিকারী কিংসলের প্রত্যাশা, ‘অনুশীলনে শুরু থেকে সবাই আমাকে আগের মতো আপন করে নিয়েছে। এখন সিলেটে খেলার সুযোগ পেলে গোলও করার চেষ্টা করবো। বাংলাদেশ দলে স্ট্রাইকারদের পায়ে গোলখরা চলছে। সেটা অন্তত এবার ভুলিয়ে দিতে চাই। এরই সঙ্গে ভালো ফুটবলও উপহার দেবো। যেন সিলেটের মানুষ মনে রাখে।’ হাভিয়ের কাবরেরার রাডারে নম্বর নাইন পজিশনে কিংসলে, সুমন রেজা ও আমিনুর রহমান সজীব আছেন। তিনজনকে অনুশীলনে পরখ করে নিচ্ছেন। হয়তো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৯তম স্থানে থাকা সেশেলসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলারের!

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত