ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বরণ : কাঁদলেন মেসিরা

আর্জেন্টিনা ২ : ০ পানামা
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বরণ : কাঁদলেন মেসিরা

এল মনুমেন্টালে উপস্থিত প্রায় ৯০ হাজার দর্শকের মুখে ক্রমাগত উল্লাস ধ্বনি, মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করছেন আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়রা, ডাগ আউটে দাঁড়ানো লিওনেল স্কালোনির শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। নিজেদের বিশ্বজয়ী নায়কদের বরণ করে নিলেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। বিশ্বকাপ জেতার পর ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার পর প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তবে সেই উদযাপন টা ছিলো ছন্নছাড়া।

আর গতকাল বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় রিভারপ্লেটের মাঠ মনুমেন্টালে যেন গোছানোভাবে মেসি-ডি মারিয়াদের অভিবাদন জানালেন আর্জেন্টাইনরা। এল মনুমেন্টালে উপস্থিত প্রায় ৯০ হাজার দর্শকের মুখে ক্রমাগত উল্লাস ধ্বনি, মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করছেন আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়রা, ডাগ আউটে দাঁড়ানো লিওনেল স্কালোনির শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। ঠিক এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন তারা। যেদিন থেকে ফুটবল শুরু করেছেন সেদিন থেকে এই স্বপ্ন দেখে এসেছেন মেসি-মার্তিনেসরা। দিনটি যখন এলোই, চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না আলবিসেলেস্তে খেলোয়াড়দের কেউ কেউ।

নিজেদের বিশ্বজয়ী নায়কদের বরণ করে নিলেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। রিভারপ্লেটের মাঠ মনুমেন্টালে যেন গোছানোভাবে মেসি-দি মারিয়াদের অভিবাদন জানান আর্জেন্টাইনরা। মেসি উপভোগ করলেন প্রতিটা মুহূর্ত। এমনই তো চেয়েছেন তিনি, আর্জেন্টিনার মানুষের মুখে হাসি ফোটানো নায়কেরা নিজেরা তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও করলেন না। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপের রেপ্লিকা ট্রফি উপহার দেওয়া হয়, সেই ট্রফি নিয়ে ফুটবলাররা ও পরিবারের সদস্যরা আনন্দে নেচেছেন-গেয়েছেন।

পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের তিন মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনা, বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ২-০ গোলে, গোল করেছেন থিয়াগো আলমাদা ও মেসি।

পানামার বিপক্ষে ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। নিজ দেশের ভক্তদের সামনে খেলার অপেক্ষায় ছিলেন। মেসিই বলেছিলেন, ‘ওই স্টেডিয়ামে অনেক খেলেছি। কিন্তু এবারের ম্যাচ হবে ভিন্ন। ওই ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছি।’ প্রতিপক্ষ হিসেবে পানামা বড় দল নয়। তারপরও স্টেডিয়ামে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

ম্যাচ শেষে মেসি-ডি মারিয়ারা রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে ভক্তদের সামনে উঁচিয়ে উদযাপন করেন। লাইনে দাঁড়িয়ে শিরোপা উৎসবে মাতেন। মেসিকে তার সতীর্থরা কোলে তুলে নেন, কোলে তুলে নেন কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। বিশ্বকাপের মতো মেসি, ডি মারিয়া, ওটামেন্ডিদের স্ত্রী তাদের সন্তানরাও হাজির হয়েছিলেন ওই ম্যাচে। তারাও উৎসবে মাতেন। সব মিলিয়ে পানামার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচ যেন ছিল বিশ্বকাপের জয় উদযাপনের মহড়া ম্যাচ।

ইদানিং মেসি মাঠে নামলেই যেন কোনো না কোনো মাইলফলক স্পর্শ করছেন। ক’দিন আগেই যেমন ক্লাব ক্যারিয়ারে পূর্ণ করলেন ৭০০ গোল ও ৩০০ অ্যাসিস্টের মাইলফলক। এবার পানামার বিপক্ষে পানামার বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে দেওয়া দুর্দান্ত গোল মেসিকে পৌঁছে দিলো নতুন উচ্চতায়, ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মিলিয়ে ৮০০ গোল পূর্ণ করলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। বর্তমানে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরই এই কীর্তি আছে। মেসি যদিও সিআর সেভেনের চেয়ে ১২০ এর মতো কম ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির গোল দাঁড়াল ৯৯ টিতে। আরেকটি গোল করলেই ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করবেন এলএম ১০।

প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপের রেপ্লিকা ট্রফি উপহার দেওয়া হয়। আর্জেন্টিনা আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে কুরাকাওয়ের বিপক্ষে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত