ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাউদিকে সরিয়ে শীর্ষে সাকিব

সাউদিকে সরিয়ে শীর্ষে সাকিব

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২০৭ রান করে বৃষ্টি আইনে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৭ ওভারে নেমে আসা দ্বিতীয় ম্যাচে ২০২ রান করে তুলে নিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সেরা ৭৭ রানের জয়। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব জানিয়েছেন, পূর্বের ম্যাচগুলোর মতো ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেটে মনোযোগ ছিল তাদের। ব্যাট হাতে ২৪ বলে ৩৮ ও বল হাতে ২২ রানে ৫ উইকেট নেয়া সাকিব বলেন, ‘গত কয়েক ম্যাচের মতো পারফর্ম করতে চেয়েছিলাম, সেটা পেরেছি। আমরা যদি সেরা দল হতে চাই, উইকেটে গিয়ে শুরু থেকে নিজেকে মেলে ধরতে হবে। ওভাবে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা।’ ব্যাটিং করার সময় সাকিব বুঝে ফেলেছিলেন কৌশলী হলে উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করে নেওয়া সম্ভব। হ্যারি টেক্টরের ধীরে বল খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল বলেও জানান তিনি। ওই চিন্তা থেকে শুরুতে বোলিংয়ে আসেন- উল্লেখ করেন সাকিব, ‘টেক্টর স্লো বল করলে বেশ ঘুরছিল। তখন মনে হয়েছিল, স্পিনারদের জন্য সুবিধা আছে। সেজন্য শুরুতে হাত ঘুরানোর সিদ্ধান্ত নিই। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলে ৩-০ করার কথা ভাবে। বড় দলের মতো আমরাও তেমনই ভাবছি।’ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব জানান, শেষ ম্যাচে তারা নতুন দুই-একজনকে সুযোগ দিতে চান। তাতে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আসবে না।

সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে ২০২ রানের জবাবে দিতে নামা আয়ারল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে একটি উইকেট নেন অলরাউন্ডার সাকিব। এরপর ইনিংসের চতুর্থ ও ষষ্ঠ ওভারে নেন দুটি করে উইকেট। নিজের শেষ ওভারে উইকেট না পাওয়ায় ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি সাকিবের দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট বা ফাইফারের কীর্তি। এর আগে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ওটাই তার টি- টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা। আইরিশদের বিপক্ষে করলেন দ্বিতীয় ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিব এখন সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক, ১১৪ ম্যাচ খেলে তিনি ১৩৬ উইকেট নিয়েছেন। এর আগে সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট ছিল টিম সাউদির (১৩৪)। তার আগে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকানা টাইগার ক্রিকেটার সাকিবেরই ছিল। সাকিব ও সাউদির পেছনে আছেন রশিদ খান, ১২৯টি। তাদের পর আছেন ইশ সোধী (১১৪) ও লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭)। নিজের অর্জনে দারুণ খুশি সাকিব। তবে বাংলাদেশের কেউ শীর্ষে আছে বলে তার আনন্দটা দ্বিগুন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সাকিব বলেছেন, ‘অবশ্য খুশি। বাংলাদেশি কেউ শীর্ষে আছে।’

আইরিশরা বিপদে পড়ে শুরুতেই। প্রথম বলেই তাসকিনের শিকার হয়ে আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই লরকান টাকারকে ফেরালেন সাকিব;সেখানেই শুরু তার স্পিনের ছোবল। পরের ওভারে এসে জোড়া আঘাত হেনে ফেরালেন রস অ্যাডেয়ার ও গ্যারেথ ডিলেনিকে। ষষ্ঠ ওভার করতে এসে আবার হানলেন জোড়া আঘাত; জর্জ ডকরেলকে ফেরানোর পর থামালেন ২২ রানে থাকা টেক্টরকে। সেই সাথে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পেয়ে গেলেন ৫ উইকেটের দেখা। সেখানেই ম্যাচ কার্যত শেষ হয়ে গেলেও এক প্রান্ত আগলে লড়ে গিয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। অন্য প্রান্তে হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরা ঠিকই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ক্যাম্ফার তবুও তার মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে ফিফটি পেয়েছিলেন ঠিকই, তবে হারের কাল বিলম্ব ছাড়া কাজে আসেনি সেই ইনিংস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত