ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এনামুল-ইমতিয়াজ-পারভেজের সেঞ্চুরি

এনামুল-ইমতিয়াজ-পারভেজের সেঞ্চুরি

ব্যাট হাতে রানের জোয়ার বইয়ে চলেছেন এনামুল হক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আরেকটি সেঞ্চুরি উপহার দিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তার দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলার দিনে অল্পের জন্য শতক না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়লেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সঙ্গে আফিফ হোসেনের ফিফটিতে যে সংগ্রহ গড়ল আবাহনী লিমিটেড তার ধারেকাছেও যেতে পারল না প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

প্রিমিয়ার লিগে গতকাল মঙ্গলবার তিনটি সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে। এনামুল ছাড়া তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেয়েছেন রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের ইমতিয়াজ হোসেন ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পারভেজ হোসেন। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি পারভেজের সতীর্থ ভারতীয় অলরাউন্ডার চিরাগ জানি।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১৪১ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী। ৩৩৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় ১৯৫ রানে। আবাহনীকে বিশাল সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে ৫ ছক্কা ও ১৩ চারে ১২৭ বলে ১৫৩ রান করেন এনামুল। চলতি লিগে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, টানা দ্বিতীয়। গত মৌসুমে লিগে রেকর্ড ১ হাজার ১৩৮ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান এবার ৭ ম্যাচে করে ফেললেন ৫৭২। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে নাঈম শেখ থামেন ৯৪ রানে। ৫৩ রান করেন সম্প্রতি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আফিফ। রান পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জে নেমে ভালো শুরু পেলেও টিকে থাকতে ব্যর্থ হন প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০০’র আগেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে আটজন ব্যাটসম্যান যান ২ অঙ্কে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেবল ইয়াসির আলি চৌধুরি (৪৫) পার করতে পারেন চল্লিশের ঘর। আবাহনীর হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন তানজিম হাসান।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্সের জয় ২৫ রানে। ২৮৭ রানের পুঁজি গড়ে তারা লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে প্রথম হারের স্বাদ দেয় ২৬২ রানে থামিয়ে। ইনিংস শুরু করতে নেমে সেঞ্চুরি উপহার দিলেন ইমতিয়াজ হোসেন। সঙ্গে নাঈম ইসলাম ও অঙ্কিতের ফিফটিতে ৩০০’র কাছে গেল রূপগঞ্জ টাইগার্সের পুঁজি। পরে পারভেজের সেঞ্চুরি ও চিরাগ জানির নব্বই ছাড়ানো ইনিংসে জবাবটা ভালোই দেয় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু মুকিদুল ইসলামের চমৎকার বোলিংয়ে পেরে উঠল না তারা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রূপগঞ্জ টাইগার্স ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ইমতিয়াজ ও নাঈম ১৬৮ রানের জুটিতে সামাল দেন সেই ধাক্কা। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে ঠিক ১০০ রান করে বিদায় নেন ইমতিয়াজ। ৬৬ রান করা নাঈমকে বোল্ড করেন মাশরাফি। পরে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে টানেন ভারতের অঙ্কিত, অপরাজিত ৬৫ রান। রান তাড়ায় ৮০ রানে ৪ উইকেট হারায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন পারভেজ ও চিরাগ। এই দুইজন গড়েন ১২৫ রানের জুটি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১১ রান করেন পারভেজ। দলকে এরপর জয়ের পথে রেখেছিলেন চিরাগ। কিন্তু ৮ চারে ৯৪ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান তিনি। দলটির হয়ে আর কেবল তানবির হায়দার (১৪) যান দুই অঙ্কে। ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন মুকিদুল। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেলেন এই পেসার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত