ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১৯ ম্যাচ পর সৌম্যর ফিফটি

১৯ ম্যাচ পর সৌম্যর ফিফটি

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সৌম্য সরকার সবশেষ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে। টুকটাক রান করছিলেন সৌম্য সরকার, কিন্তু পাচ্ছিলেন না পঞ্চাশের দেখা। দীর্ঘ খরা অবশেষে কাটালেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৯ ম্যাচ পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে করলেন ফিফটি। সঙ্গে বাকিদের ছোটখাটো ইনিংসে কোনোমতে দুইশ পার করল মোহামেডান। পরে চমৎকার বোলিংয়ে অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়ে দিল দলটি। বিকেএসপিতে গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোহামেডানের জয় ৩৯ রানে। টস জিতে ২২০ রানের পুঁজি গড়ে অগ্রণী ব্যাংককে তারা গুটিয়ে দেয় ১৮১ রানে। চলতি লিগে সময়টা ভালো যাচ্ছে না সৌম্যর। আগের ৫ ইনিংসে কেবল একবার পার করতে পারেন তিনি ৪০ রান। এবার খেললেন ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৬ রানের ইনিংস। গত বছরের মার্চে খেলাঘরের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৯ রান ছিল লিস্ট ‘এ’-তে তার সবশেষ ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। ঈধর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৭৭ বলে ২৬তম লিস্ট ‘এ’ পঞ্চাশ স্পর্শ করেন সৌম্য। এরপর তিনিও দীর্ঘ করতে পারেননি ইনিংস। শুভাগত হোম (২৯), আরিফুল হক (২৪) ও ইংল্যান্ডের জেইক লিনটটের (২৫) ব্যাটে ২০০ পার করে মোহামেডান, ২২০/৯। অল্প পুঁজি নিয়ে বল হাতে যেমন শুরু প্রয়োজন, দলকে সেটা এনে দেন ম্যাচসেরা নাজমুল অপু (৩/৩৪), প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে আজমির আহমেদ ও সাহানুর রহমানকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান বাঁহাতি এই স্পিনার, যদিও হয়নি হ্যাটট্রিক। পরে দ্রুত আরো ৩ উইকেট হারিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৫। সেখানে থেকে মার্শাল আইয়ুব (২৪), ভারতের আজিম নাজির (৩৮) প্রতিরোধ গড়ার আভাস দিয়েও টানতে পারেননি দলকে, ১৮১/১০।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে সম্মিলিত চেষ্টায় ঢাকা লেপার্ডসকে ২০০ এর আগে থামিয়ে দেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের বোলাররা। পরে তানজিদ হাসান ও মাইশুকুর রহমানের ফিফটিতে ৫ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ব্রাদার্স, প্রতিপক্ষের ১৯৮ রান তারা পেরিয়ে যায় ৪৯ বল বাকি থাকতে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা লেপার্ডসের ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু পেলেও লম্বা করতে পারেননি ইনিংস, তাদের ৮ ব্যাটসম্যানই স্পর্শ করেন ২ অঙ্ক। কিন্তু পঞ্চাশ করতে পারেননি কেউ। ৩০ পার করেছেন তিনজন ব্যাটসম্যান। রান তাড়ায় ব্রাদার্স এগিয়ে যায় ম্যাচসেরা তানজিদের (৭১) ব্যাটে, ৪৫ বলে ফিফটি করে এই ওপেনার ফেরেন চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে। পরে দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাইশুকুর। ৫ চারে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

ফতুল্লায় শাইনপুকুরকে ২৩ রানে হারায় সিটি ক্লাব। ২২৬ রানের পুঁজি নিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামিয়ে দেয় ২০৩ রানে। ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস উপহার দিলেন শাহরিয়ার কমল (৫৪) ও ম্যাচসেরা মাজ আহমেদ সাদাকাত (৬৫)। তাতে ২০০ ছাড়ায় সিটি ক্লাবের সংগ্রহ, ২২৬/১০। রান তাড়ায় জিশান আলম (৮৬) ও অমিত হাসানের (৫৩) হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না শাইনপুকুর, ২০৩ রান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত