ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সামনে তামিম পাশে সাকিব

সামনে তামিম পাশে সাকিব

মিরপুরে একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সহজ পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ; টেস্টে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়। টেস্টটি স্বরণীয় হতে পারে মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলামের জন্য। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিক (১২৬ ও ৫১*), আর দুই ইনিংস মিলিয়ে বাহাতি স্পিনার তাইজুল (৫/৫৮ ও ৪/৯০) নিয়েছেন ৯ উইকেট।

টেস্টে এ নিয়ে ষষ্ঠবার ম্যাচসেরা হলেন মুশফিক, ছয়বার হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। এই টেস্টে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান হয়েছে মুশফিকের, যেখানে শীর্ষে আছে তামিম ইকবাল, করেছেন ১৫ হাজার ৩৮ রান। মিরপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তিনি এই মাইলফলক পেরিয়ে যান। ম্যাচ শেষে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত মুশফিকের রান ৪৩২ ম্যাচের ৪৭৯ ইনিংসে ১৪ হাজার ৪৩ রান, গড় ৩৪.১৬। ৮৫ টেস্টের ১৫৭ ইনিংসে তার রান ৫৪৭৬, গড় ৩৮.২৯। সেঞ্চুরি ১০টি আর হাফ সেঞ্চুরি ২৫টি। সর্বোচ্চ ২১৯*। ওয়ানডেতে ২৪৫ ম্যাচের ২২৯ ইনিংস ব্যাট করে মুশফিকের রান ৭০৪৫ রান, সর্বোচ্চ ১৪৪। গড় ৩৬.৮৮। স্ট্রাইকরেট ৭৯.৪৭। ৪৩টি ফিফটির পাশে ৯টি সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে আগেই অবসর নিয়েছে মুশফিক। এই ফরম্যাটে ১০২ ম্যাচের ৯৩ ইনিংস ব্যাট করে তার রান ১৫০০ রান, গড় ১৯.৪৮, স্ট্রাইকরেট ১১৫.০৩। এই ফরম্যাটে তার ৬টি ফিফটি আছে।

বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক রানের তালিকায় তামিম ইকবাল আছেন শীর্ষে, তার মোট আন্তর্জাতিক রান ১৫০৩৮। ১৪০৪৩ রান নিয়ে মুশফিক আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তিন নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসানের মোট রান ১৩৮৮৫।

অফিসিয়াল বয়সে মুশফিকুরো চেয়ে বড় সাকিব। তবে বিকেএসপিতে মুশফিক ছিলেন ওপরের ক্লাসে, সাকিব তাই ডাকেন ‘মুশফিক ভাই’। মিরপুর টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ব্যাটিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে খেলছি ২০০৩ সাল থেকে, অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে একসঙ্গে খেলছি। তখনও যেমন দেখেছি এখনও তেমনই।’ দেশের ক্রিকেটে দুজনের একসঙ্গে পথচলা যেমন দীর্ঘদিনের, একটি জায়গায় তেমনি এখন পাশাপাশিই দুজন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দা ম্যাচ এখন যৌথভাবে তারা দুজনই, ছয়বার করে।

সাকিব টেস্টে সবশেষ ম্যাচ সেরা হন ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। মুশফিক তখনও পর্যন্ত সেরা হতে পেরেছিলেন ৩টি টেস্টে, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’বার ডাবল সেঞ্চুরি করে সেরা হন। তিনি প্রথম ম্যাচ সেরা হন ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করে, যা ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে সেরা হন দুই ইনিংসে ৬০ ও ৯৩ রানের ইনিংসে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘিœত মিরপুর টেস্টে ৬৫ রানের ইনিংসে পান সেরার পুরস্কার। সাকিবের হাতে প্রথম সেরার পুরস্কার ওঠে ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে মুশফিক খেললেন ৮৫ টেস্ট, সাকিব ৬৬টি। ৫৬ টেস্টে চারবার সেরা হয়েছেন মুমিনুল হক, তিনবার করে ম্যাচসেরা হয়েছে ৬১ টেস্ট খেলা মোহাম্মদ আশরাফুল ও ৭০ টেস্টে তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত