‘অবসর ভাবনা’ ছিল রোনালদোর!

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কাতার বিশ্বকাপে অনেক স্বপ্ন নিয়ে খেলতে গেলেও শেষটা হয় একরাশ হতাশায়। ব্যক্তিগতভাবেও তার জন্য আসরটি ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। মনের কষ্টে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ‘অবসরের চিন্তা’ পেয়ে বসেছিল- জানান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে হেরে শেষ হয় পর্তুগালের পথচলা। আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার রোনালদো আসরে করতে পারেন মাত্র একটি গোল। নকআউট পর্বে জায়গা হারান শুরুর একাদশে। ওই সময়ের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে তার দ্বন্দের গুঞ্জনও শোনা যায়। মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়েছিল পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন রোনালদো। কিন্তু তিনি পারেননি ব্যবধান ঘোচানোর, ম্যাচ শেষে অশ্রুসিক্ত চোখে মাঠে ছাড়েন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

বয়স হয়ে গেছে, বিশ্বকাপ শুরুর পর বিতর্কিত ঘটনায় ভেস্তে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি। সব কিছু মিলিয়েই সময়টা ভীষণ খারাপ ছিল রোনালদোর জন্য। সব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে অনিশ্চয়তা জেগেছিল তার আন্তর্জাতিক ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। সান্তোসের জায়গায় রবের্তো মার্তিনেস কোচ হয়েই জানান, তার পরিকল্পনায় আছেন ৩৮ বছর বয়সি এ ফুটবলার। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল পর্তুগাল খেলেছে লিচেস্টাইনের বিপক্ষে। আগের মতো নেতৃত্বের আর্মব্যান্ডও ছিল রোনালদোর হাতেই, ৪-০ গোলে জেতা ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল।

ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন রোনালদো। সেখানেই ওঠে তার পেছনের ভাবনা, ‘মিথ্যা বলব না। আমাদের জীবনে, একটা সময় সবকিছু পরিমাপ করতে হয়। আমরা ভেবেছিলাম, আমি ও আমার পরিবার পেছন ফিরে চেয়েছিলাম, অনেক ভাবার পর আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যে, সমস্যা থাকলেও হার মানতে পারি না। পুরো বিষয়টা আমি নানাভাবে পর্যালোচনা করতে পেরেছিলাম। সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছিলামও।’

পর্তুগালের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও উয়েফা নেশন্স লিগ জয়ী রোনালদো দেশকে আবারও শীর্ষ পর্যায়ে নিতে চান, ‘ফিরে আসতে পেরে আনন্দিত। রবের্তো মার্তিনেস দেখিয়েছেন যে, তিনি আমার ওপর ভরসা রাখছেন। আমি সবসময় খেলতে চেয়েছি। আপনারা জানেন, তিনি সবার সঙ্গে ও আমার সঙ্গেও কথা বলেছেন। আমি বুঝতে পেরেছি যে, জাতীয় দলকে আমার এখনও অনেক কিছু দেয়ার আছে। আমি অনুভব করতে পারছি, আমি এটাই চাই। পর্তুগালকে শীর্ষ স্তরে নিতে চাই। দলের যখনই আমাকে প্রয়োজন হবে, আমি সবসময় নিজেকে উজাড় করে দেব।’