ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুপার লিগে ওঠার লড়াইয়ে তারা

সুপার লিগে ওঠার লড়াইয়ে তারা

দারুণ জমে উঠেছে দেশের ক্রিকেটের লিস্ট ‘এ’ ম্যাচের একমাত্র প্রতিযোগিতা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে লিগে এখন চরম উত্তেজনা। রাউন্ড রবিন লিগের খেলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন সবার মনোযোগ সুপার লিগে খেলার লড়াই। রাউন্ড রবিন লিগের পর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল খেলবে সুপার লিগ। সেখানে পাঁচটি করে ম্যাচ খেলবে প্রত্যেক দল। শীর্ষ দল জিতে যাবে প্রিমিয়ার লিগের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।

পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী, সুপার লিগ এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আবাহনী ও শেখ জামালের পয়েন্ট সমান (৯ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬)। নেট রানরেটে নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামালকে (১.০৪৩) পিছনে ফেলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের আবাহনী (১.৭৪৬) শীর্ষে। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ৩ নম্বরে মাশরাফির লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। শেষ দুই দল কারা তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। মূল লড়াইয়ে আছে তিনটি দল, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, মোহামেডান ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। প্রত্যেকেরই দুটি করে ম্যাচ বাকি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স খেলবে ব্রাদার্স ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। মোহামেডানের প্রতিপক্ষ শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও ঢাকা লিওপার্ডস এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স খেলবে সিটি ক্লাব ও ব্রাদার্সের বিপক্ষে।

৪ নম্বরে আছে মোহাম্মদ মিঠুন, তামিম, মুশফিক ও ইয়াসির আলী রাব্বির প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব (৯ ম্যাচে ৬ জয় আর ৩ হারে ১২ পয়েন্ট)। এ দলটির ৪ নম্বরে থেকে সুপার সিক্সে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এর পরের দুটি পজিশন নিয়েই ত্রিমুখী লড়াই; গাজী গ্রুপ, মোহামেডান এবং রূপগঞ্জ টাইগার্সের মধ্যে। এর মধ্যে গাজী গ্রুপ আর মোহামেডানের পয়েন্ট সমান (৯ ম্যাচে ৪টি করে জয় আর পরিত্যক্ত ম্যাচে ১ পয়েন্ট সহ ৯ করে)। অন্যদিকে রূপগঞ্জ টাইগার্সের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ৭ (৩ জয়, ৬ হার ও ১ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে ১ পয়েন্টসহ)। সমান ৬ পয়েন্ট তথা তিনটি করে জয় আছে তিন দলের (ব্রাদার্স, সিটি ক্লাব ও অগ্রণী ব্যাংকের)। এদের মধ্য থেকে কারো সুপার লিগ খেলার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ, এই তিন দলের যেই বাকি দুই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট ১০’র ওপরে উঠবে না। সেক্ষেত্রে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ওপরে থাকা গাজী গ্রুপ আর মোহামেডানের এখনো দুই ম্যাচ জিতে ১৩ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে। ওই দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও গাজী গ্রুপ আর মোহামেডানের পয়েন্ট হবে ১১।

কাজেই মোহামেডান ও গাজী গ্রুপ আর একটি করে ম্যাচ জিতে গেলেও তাদের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীরা আর টপকে যেতে পারবে না। সাকিব, রিয়াদ, ইমরুল, সৌম্য, মিরাজ, শুভাগত, রনি তালুকদারদের নিয়ে গড়া ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান এবং আকবর আলী, মেহেদি মারুফ, টি রবি তেজার গাজী গ্রুপের সেরা ছয়ে জায়গা করে নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মোহামেডানের খেলা বাকি সাইনপুকুর আর ঢাকা লেপার্ডসের সঙ্গে। অন্যদিকে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের খেলা আছে ব্রাদার্স ও সাইনপুকুরের সঙ্গে। রূপগঞ্জ টাইগার্সের শেষ দুটি ম্যাচ বাকি যথাক্রমে সিটি ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে।

কোনো দলের পয়েন্ট সমান হলে প্রথমে মোস্ট নাম্বার অব উইন হিসেব করা হবে। তাতেও সমাধান না মিললে হেড টু হেড কাউন্ট করা হবে। সবশেষে নেট রান রেটের হিসাব টানা হবে। মাঠের ক্রিকেটে যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে তাতে বুঝা যাচ্ছে, এই পর্যায়ে এসে কেউই কাউকে ছাড় দেবে না। তাতে লিগের রোমাঞ্চ আরো বেড়ে যাবে।

সুপার লিগ নিশ্চিত করা দলগুলোর জন্য পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কেন না, রাউন্ড রবিন লিগের পয়েন্টও সুপার লিগে কাউন্ট করা হয়। এখানে এগিয়ে থাকলে এবং সুপার লিগে ভালো করলে শিরোপা জয় তুলনামূলক সহজ হয়।

আর পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা তিন দলের খেলতে হবে রেলিগেশন লিগ। প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা নবাগত দল ঢাকা লিওপার্ডসকে এই লিগ খেলতেই হবে। কারণ, ৯ ম্যাচে তারা জিতেছে কেবল এক ম্যাচ। শাইনপুকুর শেষ দুই রাউন্ডের দুটি ম্যাচ জিতলে তারা এগিয়ে যেতে পারে। ৯ ম্যাচে ২ জয়ে তাদের পয়েন্ট ৪। সেক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক, সিটি ক্লাবের কপাল পুড়তে পারে। তবে শেষ দুই রাউন্ডে তারা ভালো করলে অবনমন এড়িয়ে যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত