ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইসিসির মাস সেরা ক্রিকেটার

রুয়ান্ডার ইশিমউইর সঙ্গে সাকিবও সেরা

রুয়ান্ডার ইশিমউইর  সঙ্গে সাকিবও সেরা

আফ্রিকার দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ রুয়ান্ডায়ও ধীরে ধীরে চর্চা বাড়ছে ক্রিকেটের। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ক্রিকেটারদের টপকে কিনা সেই রুয়ান্ডার এক নারী ক্রিকেটার কিনা মার্চ মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন! নাইজেরিয়ান ক্রিকেট ফেডারেশন উইমেন্স ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অলরাউন্ড নৈপূণ্য প্রদর্শণ করে আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হয়েছেন রুয়ান্ডার ইশিমউই।

ইশিমউইয়ের মাস সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা চমক হলেও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের জন্য নতুন নয়, দ্বিতীয়বার। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে মাসজুড়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ড নৈপূণ্য উপহার দেয়ার পুরস্কার পেয়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে। মার্চ মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বুধবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন রুয়ান্ডার অলরাউন্ডার হেনরিয়েট ইশিমউই। মাস সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে তিনবার জায়গা পেয়ে দুইবারই বাজিমাত করলেন সাকিব। ২০২১ সালের জুলাইয়ের সেরা হয়েছিলেন তিনি। সে বছর অক্টোবরে সেরার লড়াইয়ে থাকলেও জিততে পারেননি ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি (ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার) ও সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাস সেরা ক্রিকেটার। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।

গত মাসে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান সাকিবের, ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। ২-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়া সিরিজে ২ ফিফটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪১ রান ছিল সাকিবের, বল হাতে তার ৬ উইকেট সিরিজে দেশের হয়ে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই সংস্করণে হোয়াইটওয়াশ করার পথেও ভূমিকা ছিল অধিনায়ক সাকিবের, তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই উইকেট নেন। ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে খেলেন ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিংয়ে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। পুরস্কারটি জিতে উচ্ছ্বসিত সাকিব বললেন, টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারা ছিল তার দলের বড় প্রাপ্তি, ‘পুরষ্কারটি জিততে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই স্বীকৃতি আমার কাছে খুবই মূল্যবান, কারণ অনেক চমৎকার সব ক্রিকেটার গত এক মাসে অনেকগুলো বিশেষ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত