ফুটবলে আবার লজ্জা ও নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

তৃতীয় পক্ষ (সরকার) হস্থক্ষেপ করে নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্ত করে অ্যাডহক কমিটি করায় ২০০২ সালে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। তিন দিন পর নির্বাচিত কমিটিকে পুর্ণবহাল করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল পাঁচ দিন। এএফসির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বেশি বয়সি ফুটবলার খেলানোয় জরিমানা ও বাংলাদেশের দুই ফুটবলার নিষিদ্ধ হয়েছিল ২০০৩ সালে। থিম্পুতে ভুটানের কাছে ১-৩ গোলে হেরে অন্ধকার যুগে ডুবেছিল ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর। অর্থ সংকটের কারণে চলতি মাসের প্রথম দিকে অলিম্পিকের বাছাই খেলতে নারী জাতীয় দলকে মিয়ানমারে পাঠায়নি বাফুফে। সবশেষ আরেকটি লজ্জ্বার অধ্যায় রচিত হলো দেশের ফুটবলে,

ফিফার দেয়া ফান্ডের অপব্যবহার-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলা নববর্ষের দিন শুক্রবার ২ বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড থেকে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন বাফুফে সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। সেই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মানে ১২ লাখ টাকা)।

২০১৮ সালের ২৬ মে ওয়ারি থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়; সেই সাধারণ ডায়েরিতে তিনি অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন ‘হুমকির সুরে’ তাকে নাকি ‘বাদল রায় যেন ফুটবল ফেডারেশনে না আসে’ বলেছিলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইস সোহাগ। আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যদি আসেনও তাহলে এসে এক কাপ চা খেয়ে চলে যাবেন, এর বেশি নয়।’ নিজের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছিলেন আবু নাঈম সোহাগ। ফিফার নিষেধাজ্ঞার পর সেই সোহাগ এখন শিরোনামে।

দেশের তারকা ফরোয়ার্ড বাদল রায় প্রয়াত হন ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি। সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত এগোয়নি বেশি দূর। কিন্তু বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফার এথিক্স কমিটির তদন্তে কারও ‘হস্তক্ষেপ’ করার সুযোগ নেই। স্বাধীন তদন্তের পর সংস্থাটি শুক্রবার তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।

মূলত চারটি খাতে সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ফিফা। ৫১ পৃষ্ঠার বিস্তারিত প্রতিবেদনে বর্ণনা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ। মূলত চারটি খাতে এগুলো আনা হয়েছে- ধারা ১৩ (আনুগত্যের কর্তব্য), ধারা ১৫ (সাধারণ দায়িত্ব), ধারা ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার), ধারা ২৮ (অর্থ লোপাট ও অপব্যবহার)। মূলত অভিযোগগুলো আনা হয়েছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সময়ে।

অভিযোগের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানাতে গত ফেব্রুয়ারি ফিফার সুইজারল্যান্ডের সদর দপ্তরে ডাক পড়েছিল সোহাগসহ বাফুফের আরও তিন কর্মকর্তার। ফিফার সদর দপ্তরে বাফুফের কর্মকর্তাদের ডাক পড়া নিয়ে সবসময় দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা বাফুফের কর্মকর্তাদের মুখে শোনা যায় মুখস্থ কথা- খরচের বিষয়ে নিয়মিত তদারকির জন্য ডাক পড়ে বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের। এবার বেরিয়ে এল থলের বিড়াল।

আড়াল হচ্ছে না কোনো কিছু। অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে বাফুফের ‘মারপ্যাচে’ সবশেষ সংযোজন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমার সফর বাতিল। আর্থিক সংকটের কারণে ওই সফর বাতিল করা হয় বলে জানায় বাফুফে। সফরের জন্য বাফুফে যে খরচের তালিকা দিয়েছিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে, সেখানেও উঠে আসে নানা অসঙ্গতি। ঢাকা থেকে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে জনপ্রতি বিমান ভাড়া দেখানো হয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যা বর্তমান সময়ের বিমান ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেশি। জার্সি, বাফুফে থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াতের জন্য দেখানো ভাড়ার অঙ্কেও ছিল অসঙ্গতি।

মিয়ানমার সফর বাতিল করার বিষয়ে সোহাগ বলেছিলেন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ‘ফিডব্যাক’ না পাওয়ার কথা। পরে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জানান, অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মের মধ্যে যেতে হয় এবং সেটা সময় সাপেক্ষ বিষয়ও। এ বিষয়ে বাফুফেকে ‘তদন্ত’ করার নির্দেশনাও দেন তিনি। এরই মধ্যে এল ফিফার সিদ্ধান্ত।

সোহাগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ

২০১৯ সালের নভেম্বরে ২০২২ বিশ্বকাপ ও জাতীয় দলের ওমান সফরের জন্য আল মারওয়াহ ইন্টারন্যাশনালকে টিকিট বাবদ ১৯, ৯২৫৪ ডলার দিয়েছে বাফুফে। ফিফার তদন্তে দেখা গেছে টিকিটের জন্য যে রশিদ দেয়া হয়েছে তাতে জড়ঁঃব বানান ভুল। সব রশিদ একই তারিখে জমা দেয়া ও দেখতে একই রকম। মাল্টিপ্লেক্স টুরস ও ট্রাভেলস নামে যে কোম্পানিকে টিকিটের টাকার জন্য অর্থ দিয়েছে তাদের রশিদে নাম একেকবার একেক রকম এসেছে। পুরবী ইন্টারন্যাশনাল নামের যে এজেন্সিকে বিমান টিকিট ক্রয়ের জন্য সরবরাহ আদেশ দেয়া হয়েছে তারা মূলত জনশক্তি সরবরাহ বিষয়ক সংস্থা। পূরবী ও মাল্টিপ্লেক্স নিশ্চিত করেছে তারা বাফুফের কাছ থেকে এই ধরনের কোনো দায়িত্ব পায়নি।

২০২০ সালে ১৩, ৯২১ ডলার দিয়ে ৪০০ ফুটবল কেনে বাফুফে। সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া তিনটি কোম্পানির একটি ওফেলিয়া ইন্টারন্যাশনাল আসলে মেয়েদের পোশাক বানায় ও রশিদে দেয়া ঠিকানার সাথে মূল ঠিকানার মিল নেই। ওফেলিয়ার কাছ থেকে কোনো ইনভয়েসও পায়নি বাফুফে। বলের জন্য কাজ পাওয়া অন্য দুই কোম্পানির কোটেশনেও তাদের কোম্পানির কোনো সিল ছিল না। আর এই দুই কোম্পানির পক্ষ থেকে যে সই করা হয়েছে তাও ছিল ফটোকপির ওপর, মূল রশিদে নয়।

২০২০ সালে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পের জন্য কিছু খেলার জিনিস কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। যে তিনটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়, তাদের সবার কোটেশনে কাকতালীয়ভাবে একই রকম বানান ভুল ছিল। কারো কোটেশনেই বিডারের কোনো স্ট্যাম্প ছিল না। তিনটি কোতেশনের প্রিন্ট ও লেআউট একই রকম, যদিও তিনটিই আলাদা তিনটি কোম্পানির।

কেন সোহাগই শাস্তি পেলেন?

বাফুফের নিয়োগপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অর্থ-সংক্রান্ত সবকিছু দেখভালের দায়িত্ব আবু নাঈম সোহাগের। সেই হিসেবে তার সময়ে করা আর্থিক অনিয়মের জন্য সরাসরি তাকে অভিযুক্ত করেছে ফিফা ও নিষেধাজ্ঞা এসেছে এই কারণেই। নির্বাচিত সভাপতি বলে সরাসরি কাজী সালাহউদ্দিনকে সরানোর কোনো সুপারিশ করেনি ফিফা। তবে এই ব্যাপারে সালাহউদ্দিন বা সোহাগ, কারো কোনো বক্তব্যই এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথে থাকার কথা ছিল সোহাগের, কিন্তু আসেন ফুটবলের আঙিনায় ক্যারিয়ার গড়তে। ২০০৫ সালে বাফুফের হেড অব কম্পিটিশন্স পদে যোগ দেয়ার পর ২০১১ সালে পান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। ২০১৩ সালে পূর্ণ মেয়াদে বসেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে। সেই থেকে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে ‘আস্থাভাজন’ হয়ে ওঠেন অনেকের। ফিফার এথিকস কমিটির বিবৃতিতে বেরিয়ে এসেছে সোহাগের কেলেংকারির চিত্র; বাফুফের আর্থিক অস্বচ্ছতার বিষয়টিও।

৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার দুর্নীতি!

ফিফার প্রদানকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার না করায় ও জাল হিসাব দাখিল করায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে সব ধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ফিফা নৈতিকতা বিষয়ক কমিটি বাফুফের বেশ কিছু লেনদেন বিশ্লেষণ করে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪ মার্কিন ডলার লেনদেনে আর্থিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি! এটা হলো যাচাইকৃত লেনদেনের ১৭.৭৩ শতাংশ।

ফিফার আইন অনুযায়ী, ফেডারেশনগুলোকে প্রদত্ত ফান্ড নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফারের মাধ্যমে ফিফা নির্দেশিত খাতে টাকাগুলো ব্যয় করতে হবে। তদন্তে দেখা গেছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ অর্থ তোলা হয়েছে। এছাড়া ফিফা নির্দেশিত খাতের বাইরে ব্যয় করা হয়েছে। ঘটনা একটুকুই নয়। সেইসব ব্যয়ের প্রমাণ হিসেবে বাফুফে সেসব ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছে, সেগুলো জাল এবং মিথ্যা।

যেমন- ২০১৬ সালের কেন্দ্রীয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, সে বছর ফিফা ফরোয়ার্ড ফান্ডে ৭ লাখ ৮ হাজার ৮২০ ডলার পেয়েছিল বাফুফে। এর মধ্যে মাত্র ৯০ হাজার ১৪ ডলার ফিফা নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ করা হয়। নারী ফুটবলে ভ্রমণ ও বেতন বাবদ ১ লাখ ৭ হাজার ৬৩৪ ডলার ব্যয় ধরা হলেও কোনো সহায়ক কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের প্রশাসনিক খরচ বাবদ ৩৫ হাজার ৫৭৩ ডলার খরচের হিসেব ২০১৬ সালেও উল্লেখ করা হয়!

এক খরচ দুইবার দেখানোর এখানেই শেষ নয়। বাফুফে দাবি করেছে যে, নগদ টাকায় জাতীয় দলের কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে ৪৪ হাজার ১০০ ডলার বেতন দেয়া হয়েছে। আবার বাফুফে এটাও দাবি করছে যে, এই দুজনের বেতন দেওয়া হয়েছে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে! তার মানে এক বেতন দুইবার! বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলোকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩৫ ডলার ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল। যেটা ফিফা ফরোয়ার্ড নীতিমালার অংশ নয়। এছাড়া সেই টাকা আদৌ ক্লাবগুলোকে দেয়া হয়েছে কি না, তার কোনো প্রমাণ নেই।

ফিফার রায় ‘ত্রুটিপূর্ণ’!

আর্থিক বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় বাফুফে সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর সব ধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। গতকাল শুক্রবারের এই ঘটনার পর আজ শনিবার জানা গেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অবস্থান। বিবৃতিতে বাফুফে ফিফার রায়কে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বাফুফের দাবি, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে রায় দেওয়া হয়েছে।’

বাফুফের পক্ষ থেকে আইনি প্রতিষ্ঠান এ হোসেইন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুনানিতে বাফুফে টাকাপয়সা লেনদেনের জন্য ফিফার দেয়া অনুমোদনের নথিপত্র পেশ করেছে। কিন্তু অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার অবৈধভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আমলে নেয়নি ও ১৪ এপ্রিল ২০২৩- রায়টি অনুমোদন করে। এতে স্পষ্ট হয় সিদ্ধান্তটি শুধু ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ নয় বরং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এই রায় দেয়া হয়েছে।’ ‘ফিফার পাঠানো তহবিলের অপব্যবহার করা হয়েছে কিংবা বেঁধে দেয়া নিয়মের মধ্যে ব্যবহার করা হয়নি, এমন কোনো ইঙ্গিত নেই রায়ে। একইভাবে ফিফা ও বাফুফে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই প্রমাণও নেই। এর পাশাপাশি ফিফার অ্যাডজুডিকেটরি কমিটি বলেছে, ফাইলে এমন কিছুই নেই যাতে বোঝা যায়, আবু নাঈম সোহাগ জালিয়াতি করেছেন কিংবা দরপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। বরং দরপত্রটাই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তথ্যপ্রমাণ এড়িয়ে সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার জানিয়ে দেয়, বাফুফের প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়েছে। আর এতেই প্রমাণিত হয় সিদ্ধান্তটি শুধু ভুল ও অসংগতিপূর্ণ নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।’

‘শুনানির সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বিবেচনা করা এড়াতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনুমাননির্ভর এই রায় অনুমোদন করেছে ফিফার অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার। এছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আবু নাঈম সোহাগকে ২ বছর নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার যদি নথিপত্রগুলো স্বাধীন ও ন্যায্যভাবে যাচাই-বাছাই করত, বিশেষ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফিফার অনুমোদন নিয়ে খরচের যেসব নথিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নেয়া সিদ্ধান্তটি অনুমোদন পেত না। দেখে মনে হয়েছে, অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বারের কাজই যেন ফিফা ইনভেস্টগটরি চেম্বারের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেয়া, যেখানে স্বাধীন ও বিচারিকভাবে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়নি।’