শান্ত-নাসিরের সেঞ্চুরি

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আগের দুই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে এবার জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে নাজমুল হোসেন শান্তর (১০২*) অপরাজিত সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। প্রতিপক্ষকে ১৭২ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয়ের বন্দরে তারা পৌঁছে যায় ৮৯ বল বাকি থাকতে। গত দুই ম্যাচে ২১ ও ২ রান করা শান্ত এবার খেলেন ১০২ রানের চমৎকার এক ইনিংস। ৩ ছক্কা ও ১১ চারে সাজানো ১১২ বলের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি শান্তর সপ্তম সেঞ্চুরি, ইনিংসটির পথে এই সংস্করণে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। আবাহনীর এই জয়ে অবদান কম নয় রিশাদ হোসেনের। দুর্দান্ত লেগ স্পিনে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে দুইশর আগে গুঁড়িয়ে জয়ের ভিতটা গড়ে দেন তিনিই।

চলতি প্রিমিয়ার লিগে সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারা নাসির এবার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ছড়ালেন আলো। চমৎকার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের জয়ের নায়ক তিনি। অগ্রণী ব্যাংককে হারানোর পথে ফিফটি করে অবদান রাখলেন মুশফিক ও মিঠুন। মিরপুরে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের জয় ৬ উইকেটে। ২৭৪ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ২০ বল বাকি থাকতে। প্রাইম ব্যাংকের জয়ের কারিগর নাসির খেলেন ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ৯৮ বলে ১১২ রানের ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে সবশেষ শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি গত বছরের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে, রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে।

সম্মিলিত চেষ্টায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে দেড়শ পার হতেই থামিয়ে দিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বোলাররা। অল্প রানের লক্ষ্যে দুই ওপেনার সাইফ হাসান (৭৮) ও রবিউল ইসলামের (৫৮) ফিফটিতে সহজ জয় তুলে নিল শিরোপাধারীরা। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটে হারায় শেখ জামাল। প্রতিপক্ষের ১৬২ রান তারা পেরিয়ে যায় ১৩১ বল বাকি থাকতে।